সুইডেনে গ্রেনেড হামলায় আট বছরে এক বালক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন পাঁচ শিশুসহ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক। 

স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার দুপুরে সুইডেনের গোতেনবার্গ শহরের বিসকোপসগার্ডেন এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টে এই গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটে। 

ধারণা করা হচ্ছে, সংঘবদ্ধ অপরাধীচক্রের মধ্যকার সংঘর্ষের কারণে গ্রেনেডটি ছোড়া হয়।  

সুইডেনের পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, গ্রেনেড হামলার শিকার শিশুটি অ্যাপার্টমেন্টের একটি ঘরে ঘুমাচ্ছিল। ওই সময় এক হামলাকারী জানালা দিয়ে গ্রেনেড ছোড়ে। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হামলার শিকার অ্যাপার্টমেন্টটি যাঁদের নামে নিবন্ধিত, তাঁদের একজন স্থানীয় সোমালি কমিউনিটির এবং তিনি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত। আর নিহত শিশুটি ওই অ্যাপার্টমেন্টে আত্মীয়র কাছে বেড়াতে গিয়েছিল। 

গত বছর মার্চে বিসকপসগার্ডেন এলাকার একটি পানশালায় একদল বন্দুকধারী হামলা চালায়। গুলিবর্ষণে পুলিশের খাতায় নাম থাকা এক ব্যক্তিসহ দুজন নিহত হয়। ওই হামলার চলতি মাসে আটজনকে দায়ী করা হয় এবং তাঁদের সাত বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। 

সুইডেনের সংবাদমাধ্যম গোতেবোস্ট-পোস্তানে জানায়, পানশালায় হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের মধ্যে কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটে। 

সুইডেন মূলত শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ দেশ যেখানে অপরাধের হার কম। তবে স্টেকহোম, ইয়তোবরি, মালমোর অনুন্নত এলাকায় অপরাধ দমনে দেশটির পুলিশকে বেশ হিমশিম খেতে হয়। 

চলতি বছর সুইডেনে গ্রেনেড হামলা, গোলাগুলি ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার মতো অপরাধ দেখা গেছে। গাড়িতে আগুন দেওয়ার অপরাধ নিয়মিত ঘটায় সুইডেনের রাজনীতিতে এ নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়। সুইডেনের ডানপন্থী বিরোধী দল অপরাধ দমনে বাড়তি দুই হাজার পুলিশ নেওয়ার প্রস্তাব দেয়।