ব্রাজিলের রিওতে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা
রিও অলিম্পিকের মাত্র ৫০ দিন বাকি। এমন সময় অলিম্পিক গেমের ভেন্যু ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে ঘোষিত হয়েছে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা। এর ফলে অলিম্পিক আয়োজনে শহর কর্তৃপক্ষের অঙ্গীকার হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন শহরের অন্তর্বর্তীকালীন গভর্নর ফ্রান্সিসকো ডোরনেলেস।
রিও অলিম্পিক আয়োজনের বেশির ভাগ অর্থায়ন করবে শহর কর্তৃপক্ষ। তবে, যোগাযোগব্যবস্থাসহ বেশির ভাগ উন্নয়ন এবং নীতি নির্ধারণের দায়িত্ব স্থানীয় সরকারের। এমন পরিপ্রেক্ষিতে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন ব্রাজিলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট মাইকেল তেমার। চলতি বছর ব্রাজিলের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ৫০৫ কোটি মার্কিন ডলার।
রিও ডি জেনিরোর অন্তর্বর্তীকালীন গভর্নর ফ্রান্সিসকো ডোরনেলেস বলেন, তেল শিল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর আয়ের স্বল্পতার কারণেই উদ্ভূত অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিগগিরই রাষ্ট্রীয় জরুরি তহবিল থেকে অর্থ নেওয়া হতে পারে।
রিও ডি জেনিরোর সরকারি কর্মচারী এবং কারাভোগকারীরা সরকারের কাছে অর্থ পায়। অর্থনৈতিক সংকটে হাসপাতাল এবং পুলিশ স্টেশনও মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে।
এক নির্দেশে ফ্রান্সিসকো ডোরনেলেস বলেন, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ রিও ডি জেনিরোর সরকারি খাতে ‘সামগ্রিক অচলবস্থা’ দেখা দিতে পারে। ওই নির্দেশে অলিম্পিক গেমের আগেই ‘ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত’ নেওয়ার কথা বলেছেন গভর্নর ফ্রান্সিসকো।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের এক বার্তায় রিও ডি জেনিরোর মেয়র এদুয়ার্দো পেজ বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হলেও অলিম্পিকে জন্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প শেষ করতে রিও শহর কর্তৃপক্ষের দেওয়া বেঁধে দেওয়া সময়ের কোনো হেরফের হবে না।
বিবিসি জানায়, রিও ডি জেনিরো শহরে জিকা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে অলিম্পিকে পর্যটকের সংখ্যা কম হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অলিম্পিক উপলক্ষে পাঁচ লাখ দর্শনার্থী আশা করছে শহর কর্তৃপক্ষ।