পেরুর নির্বাচনে কুচিনস্কি এগিয়ে
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর নির্বাচনে এগিয়ে আছেন এর সাবেক প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতিবিদ পেদ্রো পাবলো কুচিনস্কি। শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী কেইকো ফুজিমোরি ভোটের ব্যবধানে কিছুটা পিছিয়ে।
ভোট গণনা শেষে পেরুর নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কুচিনস্কি পেয়েছেন ৫০ দশমিক ১২ শতাংশ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ফুজিমোরি পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট। পেরুর গত পাঁচ দশকের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। ভোটের শেষ দিকে দুই প্রার্থীর মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।
৫০ হাজার ভোটের ব্যাপারে পেরুর নির্বাচনী আদালত সিদ্ধান্তের পরই আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হবে। তাই এখনো আশা রেখেছেন ফুজিমোরি। তবে এরই মধ্যে টুইটারে নিজের জয় নিশ্চিত বলে দাবি করছেন কুচিনস্কি।
এক টুইটার বার্তায় কুচিনস্কি তাঁকে সমর্থনের জন্য পেরুবাসীকে ধন্যবাদ জানান। ওই বার্তায় তিনি বলেন, দেশের ভবিষ্যতের জন্য এখনই একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।
প্রথম ধাপে সহজ জয়ের পরও নির্বাচনে পিছিয়ে থাকার জন্য ফুজিমোরির পপুলার ফোর্স পার্টির দুর্নীতিকেই দায়ী করেন বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, দলের দুর্নীতির কারণেই চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ফুজিমোরির সমর্থন কমেছে।
কেইকো ফুজিমোরি পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফুজিমোরির মেয়ে। মানবতাবিরোধী অপরাধে আলবার্তো ফুজিমোরি বর্তমানে কারাগারে।
অন্যদিকে, নির্বাচনে এগিয়ে থাকা কুচিনস্কি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিটের অর্থনীতিবিদ। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের আশা দিয়েছেন তিনি। আর কুচিনস্কির পক্ষে ছিলেন দেশটির নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক মারিও বার্গোস য়োসা। এ ছাড়া বামপন্থী প্রার্থী ভেরোনিকা মেনদোযারও সমর্থন পেয়েছেন তিনি। তবে পেরুর শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কুচিনস্কির খাতিরকে অনেকেই ভালো চোখে দেখেন না।