ইকুয়েডরের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১৩
ইকুয়েডরে শনিবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলছে। স্থানীয় সময় সোমবার দিবাগত রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা ৪১৩ জন। আহত হয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি মানুষ। ইকুয়েডরের সরকার এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ইকুয়েডরের সমুদ্র-তীরবর্তী অঞ্চলে স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১১টা ৫৮ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। পরে ভূমিকম্পবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ইকুয়েডরে ভূমিকম্পের কেন্দ্রের গভীরতা ছিল ১৯ দশমিক ২ কিলোমিটার।
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেরা ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে বলেন, উপকূলীয় অঞ্চল মেরামতে শতকোটি ডলার খরচ হবে। তিনি আরো বলেন, গত সাত দশকের মধ্যে এটিই ইকুয়েডরে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রকৃতিক দুর্যোগ।
জানা গেছে, শনিবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরদিন রোববার কয়েকটি ছোট ছোট ভূমিকম্প হয়। বর্তমানে ১৩ হাজারের বেশি উদ্ধারকর্মী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে কাজ করছেন। গত সোমবার দিনের শেষ ভাগে একটি হোটেলের ধ্বংসস্তূপ থেকে শিশুসহ ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পোর্টোভিয়েজো ও পেডারনার্ল শহরে গতকাল সোমবার অনেক মৃতের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট কোরেরা এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, এখনো ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধারকাজ চলছে। ধ্বংসস্তূপে আরো মৃতদেহ পাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটসের পরিচালনা সচিব লুইস আলম্যাগরো বলেন, ভূমিকম্পের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ইকুয়েডরে জরুরি সহযোগিতা পাঠানো হবে। ইকুয়েডরের অর্থমন্ত্রী গতকাল সোমবার বলেন, চীনের উন্নয়ন ব্যাংকের কাছ থেকে তারা ২০০ কোটি মার্কিন ডলার সহযোগিতা পাচ্ছেন।