স্বপ্নপূরণ হচ্ছে না ইভো মোরালেসের!
বলিভিয়ার অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে আরো কাজ করতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে চেয়েছিলেন ইভো মোরালেস। কিন্তু তাঁর এই স্বপ্ন হয়তো আর পূরণ হচ্ছে না।
বিবিসির এক খবরে বলা হয়, চতুর্থ মেয়াদে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ইভো মোরালেসের বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে থাকার বিষয়ে দেশটির সংবিধানে একটি সংধোন আনা প্রয়োজন ছিল। এ প্রস্তাবের বিষয়ে গণভোটও অনুষ্ঠিত হয়েছে রোববার। কিন্তু কেন্দ্র ফেরত ভোটারদের মত জরিপের হিসাব তাঁর বিপক্ষেই চলে গেছে।
এক জরিপের তথ্য মতে, দেশটির সংবিধান সংশোধনের ওই প্রস্তাবের বিপক্ষে ৫২ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে অন্য একটি জরিপ বলছে প্রস্তাবের বিপক্ষে ৫১ শতাংশ ভোট পড়েছে।
দেশটির গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশের পর মোরালেসের বিরোধীরা লা পাজে উল্লাসে মেতেছে।
আদিবাসী হয়েও বলিভিয়ার ইতিহাসে প্রথমবার ২০০৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইভো মোরালেস।
২০১৪ সালের অক্টোবরে টানা তৃতীয় বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন ইভো মোরালেস। তাঁর চলতি মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালে।
২০১৪ সালের নির্বাচনে ইভো মোরালেস ৬১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। এই ফলে হেরেছিলেন তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিমেন্ট ব্যবসায়ী স্যামুয়েল দোরিয়া মেদিনা।
বলিভিয়ার জনসংখ্যার ৬০-৬৫ শতাংশ আদিবাসী। ক্ষমতা হাতে আসার পর মুভমেন্ট টুওয়ার্ডস সোশ্যালিজম দলের শীর্ষ নেতা মোরালেস বলিভিয়ায় একের পর এক জনকল্যাণমূলক নীতি প্রণয়ন করেছেন। ফলে এখনো তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল। কিন্তু কেন্দ্রফেরত জরিপের (এক্সিট পোল) ফল তাঁর সমর্থকদের হতাশ করেছে।
তবে ভোটের সত্যিকার ফলের জন্য অপেক্ষা করতে সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আলভারো গার্সিয়া লিনেরা। তিনি বলেছেন, ‘কেন্দ্রফেরত জরিপের ফল ভুল হতে পারে। আর ভোটের সত্যিকার ফল এর উল্টোও হতে পারে। ফলে উদ্বেগের কারণ নেই।’
আয়মারা ভাষাভাষী গোষ্ঠীর মানুষ ইভো মোরালেস বলিভিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু কেব্ল কার চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন। দেশের প্রথম স্যাটেলাইটও উৎক্ষেপণ হয়েছে তাঁর আমলেই। ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণে অগ্রগতিও হয়েছে অনেকটা।
ইভো মোরালেসের জন্ম ১৯৫৯ সালের ২৬ অক্টোবর। আদিবাসী এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে তাঁর শৈশব কেটেছে।