ব্রিটেনের ধর্ষক-চক্রের হোতা ‘পালিয়ে বাংলাদেশে’
ব্রিটেনের ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের এক তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে ১২ পুরুষ। তবে ওই ধর্ষক-চক্রের হোতা দণ্ড ঘোষণার আগেই বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বলে ব্রিটেনের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে।
সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার ওই ১২ জনের কারাদণ্ড হওয়ার কথা ছিল। তবে এরই মধ্যে ওই চক্রের হোতা আরিফ চৌধুরী বাংলাদেশে পালিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ বছর বয়সী আরিফ চৌধুরী একজন মাদক ব্যবসায়ী। ২০১২ সালে ওই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে সে গ্রেপ্তার হয়েছিল। যখন তার বয়স ১৫ বছর, তখনো সে তার বন্ধুদের নিয়ে ১৩ বছর বয়সী ওই তরুণীকে কেইলি নামের এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় গত বছর বার্ডফোর্ড ক্রাউন কোর্টে শুনানি হয়।
বার্ডফোর্ড ক্রাউন কোর্টে কিউসি লুইস ব্ল্যাকওয়েলের নেতৃত্বে স্থানীয় সময় শুক্রবার ওই মামলার শুনানিতে আদালত আরিফকে ধান্দাবাজ, হিংস্র ও খারাপ মানুষ বলে মন্তব্য করেন। ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের পুলিশ জানায়, আরিফকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
আদালত জানান, ভুক্তভোগী ওই তরুণীর বয়স এখন ১৮ বছর। আগে খুব চঞ্চল থাকলেও বর্তমানে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। ২০১২ সালের জুনের পর তাঁর পরিবার ৭১ বার খুঁজে বাড়ি এনেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আরিফ ওই তরুণীকে দিয়ে মাদক ব্যবসা করাত। তরুণী ওই ব্যবসা করবে না বলে পুলিশকে জানিয়ে দেয়। এতে আরিফ তাকে গালাগাল করে। পরে তাকে পটিয়ে কেইলি শহরের একটি গির্জায় নিয়ে ধর্ষণ করে।
এর পর আরিফ তার চার বন্ধুর সঙ্গে ওই তরুণীকে পরিচয় করিয়ে দেয়। পরে তারাও গাড়ি পার্কিংয়ের একটি জায়গায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
পুলিশ জানায়, মোট ১২ জন ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।