ভারতে মুসলিম তরুণ বেশি, তাদের অকালমৃত্যুও বেশি
ভারতে সব সম্প্রদায়ের মধ্যে মুসলিম শিশু ও কিশোরদের হার সবচেয়ে বেশি। তবে অকালে তাদের মৃত্যু হয়।
আজ বুধবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্য গত মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়।
নুতন আদমশুমারির তথ্যমতে, দেশটির শূন্য থেকে ১৯ বছর বয়সী শিশু ও কিশোরদের মধ্যে ৪৭ শতাংশ মুসলিম, ৪০ শতাংশ হিন্দু ও ২৯ শতাংশ জৈন। মোট জনসংখ্যার মধ্যে ২০ বছরের কম বয়সীদের হার ৪১ শতাংশ, ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের হার নয় শতাংশ ও ২০-৫৯ বছর বয়সীদের হার ৫০ শতাংশ।
তবে সব সম্প্রদায়ের শিশুদের হার কমছে এবং প্রাপ্তবয়স্কদের হার বাড়ছে।
২০০১ সালের আদমশুমারির পরবর্তী সময়ে ভারতে তরুণদের হার কমতে শুরু করে। ওই সময় দেশটিতে তরুণদের হার ছিল ৪৫ শতাংশ। এর মধ্যে মুসলিম ৫২ শতাংশ, হিন্দু ৪৪ শতাংশ ও জৈন ছিল ৩৫ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক বছরে ভারতে জন্মহার কমে যাওয়ায় তরুণ জনগোষ্ঠীর হার কমেছে। দেশটিতে জন্মহার সবচেয়ে কম বৌদ্ধ গোষ্ঠীর।
দেশটির মোট জনগোষ্ঠীর মধ্যে আয় করে ও স্বাস্থ্যসেবা নেওয়া জনগণের একটি হিসাব তুলে দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। এ ক্ষেত্রে ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৬ দশমিক ৪ শতাংশ ও এর কম বয়সীদের ৫০ শতাংশ মুসলিম রয়েছে। ২০০১ সালে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।
ভারতের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ হিন্দু। ফলে আর্থিকভাবে তারাই বেশি অবদান রাখে।
২০০১ সালের শুমারি মতে, দেশটির মোট শ্রমশক্তির মধ্যে প্রতি হাজারে ৬২১ জনের বয়স ছিল ১৫ বছরের বেশি। তবে ২০১১ সালের শুমারি অনুযায়ী তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫১০ জন।
পারিবারিক নির্ভরতায় মুসলিম শিশুদের হার বেশি। প্রতি হাজারে ৭৪৮ জন মুসলিম শিশু আর্থিকভাবে পরিবারের ওপর নির্ভর করে। এ ক্ষেত্রে জৈনর সংখ্যা ৪৯৮ ও হিন্দু ৬৪০ জন।