ভারতের প্রতিটি গ্রামে রামমন্দির বানাবে হিন্দু পরিষদ
ভারতের প্রতিটি গ্রামে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে চায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। আর এ পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের সংগঠনকে চাঙ্গা করার পরিকল্পনা নিয়েছে ভারতের অন্যতম এ হিন্দুত্ববাদী সংগঠন।
ভারতের গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাম মন্দির ইস্যুকে হাতিয়ার করে আবার হিন্দুত্বের পালে হাওয়া লাগাতে মাঠে নামতে চাইছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। পরিষদের মুখপাত্র শারদ শর্মা জানিয়েছেন, তাঁরা ভারতের প্রতিটি গ্রামে একটি করে রাম মন্দির নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আগামী ১৫ এপ্রিল রাম নবমী। এই রাম নবমী উপলক্ষে ভারতজুড়ে রাম মহোৎসব করা হবে। ওই সময় ভারতের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ভগবান রামের পূজা করা হবে বলে জানিয়েছেন শারদ শর্মা। তিনি বলেন, ‘রামের পূজার পাশাপাশি গ্রামে গ্রামে রামের মূর্তি এবং ছবি বসানো হবে, যা রাম মন্দির হিসেবে পরিগণিত হবে। এভাবেই ভারতের এক লাখ ২৫ হাজার গ্রামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ পৌঁছে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। শর্মা জানান, অতীতেও এই ধরনের রাম মহোৎসবের আয়োজন করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সেই সময় ৭০ থেকে ৭৫ হাজার গ্রামে তারা সংগঠনের শাখা বিস্তার করেছে কেবল রামের মহত্ত্ব প্রচারের মাধ্যমে। তাই এবার আবার ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা ভোটের মুখে রাম মন্দির ইস্যুকে হাতিয়ার করে সংগঠনের শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে পৌঁছে যেতে চাইছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
ভারতের অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণসংক্রান্ত মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। কিন্তু ভারতে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুো এই ইস্যুতে হাওয়া গরম করতে বারবার ময়দানে নামার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে বিজেপি নেতা সুব্রামনিয়াম স্বামী জানিয়েছেন, ‘আদালতের রায় মেনে চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু হবে।’ তাঁর ধারণা, আগামী আগস্ট বা সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ রাম মন্দির নিয়ে আদালতের রায় বের হতে পারে। তবে হিন্দু ও মুসলিমদের সম্মতির ভিত্তিতেই রাম মন্দির নির্মাণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আদালতের অনুমতি ছাড়া রাম মন্দির নির্মাণের কোনো অনুমোদন দেওয়া হবে না। তবে রাম মন্দির তৈরি হোক বা নাই হোক, ভগবান রামকে কেন্দ্র করে রামের ছবি কিংবা মূর্তি গ্রামে গ্রামে বসিয়ে বকলমে রাম মন্দির স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আপাতত নিজেদের সংগঠনকে আরো ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে ফেলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।