ভারতে পর্নোগ্রাফির দর্শক যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি
বিভিন্ন যৌন সহিংসতা ঠেকাতে গত বছর আনুষ্ঠানিকভাবে পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ করে ভারত। পরে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে পর্নোগ্রাফি দেখার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। উপরন্তু দেশটির বিভিন্ন স্থানে পর্নোগ্রাফি দেখার ওপর কড়াকড়ি রয়েছে।
কিন্তু কথায় আছে, ‘চোরায় না শোনে ধর্মের কাহিনী’। তাই, সরকার বা সমাজপতিদের থোড়াই কেয়ার করেছেন ভারতের বিভিন্ন বয়সী দর্শক। গত বছরজুড়ে একটি পর্নো ওয়েবসাইটে তৃতীয় সর্বোচ্চ ভিডিও দেখেছেন তাঁরা।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, পর্নো ভিডিওর ওয়েবসাইট ‘পর্নোহাব’ দেখার দিক থেকে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর যুক্তরাজ্য। আর এরপরের অবস্থানটাই ভারতের।
সারা বিশ্বে মানুষের পর্নো ভিডিও দেখার প্রবণতা কেমন, তা নিয়ে প্রতিবছরই একটি পর্যালোচনা করে পর্নোহাব। গত বছরও সে ধরনের পর্যালোচনা হয়েছে।
ওই পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত বছরে ভারতীয়রা সাইটটিতে দৈনিক গড়ে সাড়ে ৯ মিনিট সময় ব্যয় করেছেন। পর্নো দেখার দিক থেকে কানাডীয়দের পেছনে ফেলেছে ভারতীয়রা।
পর্নোহাবের পর্যালোচনা থেকে জানা যায়, গত বছর দুই হাজার ১০০ কোটির বেশি লোক তাদের সাইট দেখেছে। প্রতি মিনিটে সাইটটিতে ছিল ৪০ হাজার লোক। আর ঘণ্টায় এ সংখ্যা ২৪ লাখ।
পর্নোহাব আরো জানায়, বিকেল ৪টা, রাত ৯টা আর মধ্যরাতে পর্নোগ্রাফি দেখার হার বাড়ে। এ ছাড়া দিনের অন্যান্য অলস সময়েও লোকজন পর্নোগ্রাফি দেখে থাকে।