আইএস জঙ্গিদের প্রবেশ, থাইল্যান্ডকে সতর্ক করল রাশিয়া
রাশিয়ার নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালাতে গত অক্টোবরে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ১০ জঙ্গির একটি গ্রুপ থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেছে। মস্কোর শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা এ ব্যাপারে দেশটিকে সতর্ক করেছে। আজ শুক্রবার থাই পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
এ-সংক্রান্ত ফাঁস হওয়া একটি চিঠি (মেমো) গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হয়। থাইল্যান্ড পুলিশের বিশেষ শাখার কমান্ডারের স্বাক্ষর করা এ চিঠির ওপরে ‘গোপনীয়’, ‘জরুরি’ ও তারিখ ২৭ নভেম্বর লেখা ছিল। এটি পুলিশ ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, মস্কোর ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) থাই পুলিশকে জানায়, রুশ নাগরিকদের ওপর হামলা চালাতে আইএসের ১০ জঙ্গি ১৫ থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেছে।
রাশিয়ার শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের বরাত দিয়ে ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘তারা (সিরীয় নাগরিক) পৃথকভাবে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করে। এদের মধ্যে চারজন পাতায়া, দুজন ফুকেট, দুজন ব্যাংকক এবং অপর দুজন অজ্ঞাত স্থানে প্রবেশ করেছে।’
বার্তা সংস্থা বাসসের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার পর্যটকদের কাছে বিশেষ করে বড়দিন ও নববর্ষের ছুটিতে পাতায় ও ফুকেট হচ্ছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় অবকাশ কেন্দ্র।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গত ২০১৩ সালে ১৫ লাখেরও বেশি রুশ নাগরিক থাইল্যান্ড সফর করে।
সন্দেহভাজনদের নাম উল্লেখ না করে ওই চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘তাদের হামলার লক্ষ্য হচ্ছে রাশিয়ার নাগরিক ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে রাশিয়ার জোট।’
এ ব্যাপারে জানার জন্য ব্যাংককে রাশিয়ার দূতাবাসের কাউকে তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। থাই পুলিশও দেশে এসব সিরীয় নাগরিকদের উপস্থিতির ব্যাপারে নিশ্চিত করতে পারেনি। থাই পুলিশের উপ-মুখপাত্র সংপল ওয়াত্তানাচাই এই চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ পর্যন্ত এটি শুধু গোয়েন্দা খবর, প্রমাণ করা প্রয়োজন...তারা এখানে আছে কি না নেই, আমাদের কাছে তার কোনো প্রমাণ নেই।’
ইমিগ্রেশন ব্যুরো কমিশনার নাথাথ্রন প্রাওসুনটন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, গত অক্টোবরে ২৩১ সিরীয় নাগরিক থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেছিল। শুধুমাত্র ২১ জন থেকে গেছে। তাদের মধ্যে কোনো অনিয়ম ধরা পড়েনি।
এদিকে থাইল্যান্ডে এখন পর্যটন মৌসুম চলায় দেশটিতে বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা আসছেন। এ খাত থেকে থাইল্যান্ড প্রচুর অর্থ আয় করে থাকে। দেশে ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিদের প্রবেশের যেকোনো ধরনের খবর পর্যটক এবং এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের আতঙ্কিত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাশিয়া গত সেপ্টেম্বর মাসে আইএসের বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করেছে।