পৃথিবীকে বাঁচানোর শেষ সুযোগ!
প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য হাফিংটন পোস্ট আজ প্রধান শিরোনাম করেছে ‘পৃথিবীকে বাঁচানোর শেষ সুযোগ’। আজ সোমবার প্যারিসে বসছে ২১তম শীর্ষ জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২১)। এটিকেই শেষ সুযোগ বলছে তারা।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ১৫০টি দেশের নেতারা জলবায়ু সম্মেলনে বসছেন আর আলোচনার অন্যতম বিষয় থাকছে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা।
সম্মেলনটিকে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন কতখানি গুরুত্ব দিচ্ছেন, তা বোঝা যায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদকে গতকাল রোববার পাঠানো এক বার্তায়। প্যারিসে ভয়াবহ হামলার পরও সম্মেলনের আয়োজন করায় মুনের কাছ থেকে ধন্যবাদ পেয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। বান কি মুনের পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, সম্মেলনে যথাযথ একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারলে পরিণতি হতে পারে আশঙ্কাজনক। বিষয়টি তিনি (বান কি মুন) ও ওলাঁদ উভয়ে মানছেন।
কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার উচ্চাকাঙ্ক্ষী উদ্দেশ্য পূরণে এক টেবিলে বসছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। কার্বন নিঃসরণে এ দুটি দেশ অন্যতম। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বৈঠকে বসবেন।
১৯৫টি দেশের ৪০ হাজার প্রতিনিধি কপ-২১-এ অংশ নিচ্ছেন।
ন্যায়ের দাবিতে বিক্ষোভ
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, সিডনি থেকে নিউইয়র্ক পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। দাবি করেছে ন্যায় ও ন্যায্যতার।
শোকের পরিবেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই প্যারিস এখন উত্তাল। ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, প্যারিসে হাজার হাজার মানুষ মানববন্ধনে অংশ নিয়েছে। ওই মানববন্ধনে ছিল শিশুরাও। হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, যেখানে লেখা ‘জলবায়ু ন্যায্যতা’, ‘মাটিতেই রাখুন এসব (জীবাশ্ম জ্বালানি)’। হঠাৎই পরিবেশ বদলে যায়। প্যারিসের রাস্তায় নিহতদের শোকে রাখা জুতাগুলো পুলিশের দিকে ছুড়ে মারতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। আর এতেই পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। আটক করে ২০০ বিক্ষোভকারীকে।
এ ব্যাপারে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ বিষয়টিকে বলেছেন ‘মানহানিকর’। তিনি বলেছেন, ‘এ ধরনের সমাবেশ নিষিদ্ধ এবং ঘরে থাকার জন্যই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
আশাবাদী ওবামা
এ সম্মেলনে জলবায়ু-সংক্রান্ত একটা বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। চলতি মাসে ফিলিপাইনে অনুষ্ঠিত এক কনফারেন্সে ওবামা বলেন, ‘আরো অনেক কাজ করার বাকি।’
ওবামা বলেন, ‘আমি আশাবাদী। আমরা একটা ফলাফলে পৌঁছাব, যার জন্য আমরা গর্ব করতে পারি। কারণ আমরা জানি, কী কারণে আমরা বিপন্ন।’