‘মোস্ট ওয়ান্টেড নারী আসামিদের’ ধরতে ইউরোপোলের অভিনব প্রচারণা!
ইউরোপের সবচেয়ে দাগী পলাতক নারী আসামিদের ধরতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ইউরোপোল সম্প্রতি একটি অভিনব প্রচারণা শুরু করেছে। এতে ওই নারী আসামিদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, তারা গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত এবং তারা পুরুষদের মতোই অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে থাকে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এরই মধ্যে ইউরোপোলের ওয়েবসাইটে ২১ পলাতক আসামিকে দেখানো হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৮ জন নারী এবং বাকি তিন জন পুরুষ।
ওই ওয়েবসাইটে ঢুকলেই দেখা যাবে, আসামিদের মুখ মুখোশ দিয়ে ঢাকা। আসামিদের ছবিতে ক্লিক করলেই সে কী কী অপরাধে অভিযুক্ত সেটি দেখা যাবে। এবং নিচের দিকে স্ক্রল করতেই আসামির পরিচয়সহ তার চেহারা দেখা যাবে। তবে মুখোশ থাকা অবস্থায় তাদের মধ্যে নারী-পুরুষ আলাদা করার কোনো উপায় নেই।
ওই আসামিদের মধ্যে একজন এলিনা পুজিরেভিচ, যিনি ৯ রাশিয়ান তরুণীকে স্পেনে পাচার করেছিলেন এবং তাঁদের যৌনকাজে বাধ্য করেছিলেন। এ ছাড়া কেউ কেউ খুনসহ বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত।
ইউরোপোল থেকে বলা হয়েছে, ওই নারীরা পুরুষদের মতোই গুরুতর অপরাধ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত, সে জন্য মুখোশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ, অপরাধীর কোনো লিঙ্গভেদ নেই।
ওই নারীরা গুরুতর অপরাধী হলেও পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী পুরুষদের দ্বারাই সবচেয়ে বেশি গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সরকার পরিচালিত নারীদের নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো দলগত অপরাধ কার্যক্রমে পুরুষরাই আধিপত্য বিস্তার করে।
ইউরোপোলের মুখপাত্র ক্লেয়ার জানিয়েছেন, এ প্রচারণার মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে পলাতক আসামিদের খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা মূলত দেখাতে চেয়েছি যে, নারীরাও পুরুষদের মতো অপরাধ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।’