জাপানে টাইফুন হাগিবিসের আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০
জাপানে শক্তিশালী টাইফুন (ঘূর্ণিঝড়) হাগিবিসের আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিকে, জীবিতদের উদ্ধারে তৃতীয় দিনের মতো অনুসন্ধান অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সোমবার দেশটির জাতীয় সম্প্রচার কেন্দ্র এনএইচকে এ কথা জানায়। বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
সম্প্রচার কেন্দ্রটির খবরে বলা হয়, ভয়াবহ এ ঝড়ের আঘাতে এখনো ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ঝড়টি গত শনিবার রাতে টোকিও ও এর পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানে। এতে অঞ্চলটি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বিগত কয়েক দশকের মধ্যে ওই এলাকায় আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর অন্যতম ছিল এটি। সংবাদ সংস্থা বাসস এ খবর জানিয়েছে।
গ্রীষ্মকালীন যত ঝড়
‘হারিকেন’, ‘টাইফুন’ ও ‘সাইক্লোন’—সবই গ্রীষ্মকালীন ঝড়। কিন্তু বিভিন্ন অঞ্চলে এগুলো ভিন্ন নামে পরিচিত।
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর ও উত্তর-পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘হারিকেন’। কিন্তু একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্টি হলে তার নাম হয়ে যায় ‘টাইফুন’। আর দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়কে বলা হয় ‘সাইক্লোন’।
কখন হয় এসব ঘূর্ণিঝড়?
আটলান্টিক মহাসাগরে ১ জুন থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হলো হারিকেন মৌসুম। এই অঞ্চলে এ সময়কালের মধ্যেই ৯৫ শতাংশ উষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে ‘টাইফুন’ সৃষ্টি হতে পারে বছরের যেকোনো সময়। তবে সাধারণত উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে মে থেকে অক্টোবরের মধ্যে ‘টাইফুন’ সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে। আর দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নভেম্বর থেকে এপ্রিল হলো ‘সাইক্লোন’ মৌসুম।