ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) দিকে নজর রাখছে বাংলাদেশ। ভারত জানিয়েছে, আসাম রাজ্যের এনআরসি দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়। তারপরও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেছেন, ‘চলমান ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার সময় এনআরসির প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলা হয়েছে, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে দুই দেশের মধ্যে এখন অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক। তথাপি আমরা ভারতের এনআরসি নিয়ে চোখ খোলা রাখছি।’

‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’দের তাড়িয়ে দেওয়া হবে বলে এর আগে বার্তা দিয়েছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, ‘এ অবস্থায় আমাদের সংকট তৈরি করা উচিত নয়। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে হবে।’

সরকারি সূত্রে জানা যায়, ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলা হয়েছে, ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি আদালতের পর্যবেক্ষণে প্রস্তুত করা হয়েছে এবং পরিস্থিতির চূড়ান্ত চিত্র এখনো সামনে আসেনি।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এ অবস্থায় বাংলাদেশ চিন্তিত নয়। আমরা মনে করি, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, ভারতীয় নাগরিকদের নিশ্চিত করতেই এনআরসি প্রকাশ করা হয়েছে।’ 

আসামে বাস করা ভারতীয় নাগরিকদের চিহ্নিত করতে, তার আগে, রাজ্যে বসবাস করা অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে, ১৯৭১-এর ২৪ মার্চ জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরি করা হয়।

গত ৩১ আগস্ট আসাম রাজ্যে নাগরিকদের চূড়ান্ত তালিকা-এনআরসি প্রকাশ করা হয়। এ তালিকা থেকে বাদ পড়ে ১৯ লাখ ছয় হাজার মানুষের নাম।