শনিবার আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন দেশটির জনগণ। এই ভোটের মাধ্যমে দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। দেশটিতে দীর্ঘদিনের সহিংসতা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তবে বিভিন্ন স্থানে ভোটকে কেন্দ্র করে সাধারণ জনগণ বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন। এরই মধ্যেই তালেবানের তরফ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে যে, তারা নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য বিভিন্ন পোলিং স্টেশন লক্ষ্য করে হামলা চালাবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, ভোট চলাকালে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে প্রায় ৭০ হাজার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে দেশটিতে।

এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অনেক প্রার্থী। তবে সবার মধ্যে অন্যতম দুই প্রার্থী হলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ও আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ।

প্রায় চার দশক ধরে চলা সহিংসতায় ধ্বংসপ্রাপ্ত আফগানিস্তানকে তুলে ধরতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবেন দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। তাই আফগানিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের জনগণ তাঁদের ভাগ্য ফেরাতে যোগ্য নেতাকেই বেছে নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

দীর্ঘ দিনের সংঘাতে প্রায় প্রতি বছরই কয়েক হাজার মানুষ সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। প্রায় দুই দশক ধরে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্প্রদায় আফগানিস্তানের সহিংসতা বন্ধে হস্তক্ষেপ শুরু করে।