উন্নত দেশগুলোতে ধার্মিকের সংখ্যা বাড়ছে!
বয়স্ক ব্যক্তিরা সাধারণত স্রষ্টার প্রতি বেশি বিশ্বাস করে। তারা বিশ্বাস করে শিশুদের জন্য ধর্ম ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বয়স্ক ব্যক্তিরা ধর্মে অধিক বিশ্বাসী হওয়ার পাশাপাশি শিশুদেরও ধর্মকে আত্মস্থ করা প্রয়োজন বলে মনে করে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা যায়, উন্নত দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ধার্মিকের সংখ্যাও বাড়ছে।
সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানা যায়, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ধার্মিক মনোভাব থেকে সেক্যুলার মনোভাবে রূপান্তরিত হওয়াকে হ্রাস করতে পারে। একটি দেশে জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাজে ধার্মিক জনগোষ্ঠী বাড়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়, এমনটিই জানাচ্ছে সমীক্ষা।
সমীক্ষাটি সাইন্টিফিক স্টাডি অব রিলিজিয়ন নামের জার্নালে প্রকাশিত হয়। এতে অনুমান করা হয়, আগামী ২০ বছরে উন্নত দেশগুলো আরো ধর্মমুখী হবে।
পঞ্চাশোর্ধ বয়সী লোকের সংখ্যার বিপরীতে উন্নত দেশগুলোতে ২০-এর অধিক বয়সী প্রাপ্তবয়স্ক লোকের সংখ্যা এখন অর্ধেক। সমীক্ষা বলছে, এই অনুপাতে ২০৪০ সাল নাগাদ আরো বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। এ ক্ষেত্রে পঞ্চাশোর্ধ লোকের সংখ্যা বাড়বে।
‘এ কারণে উন্নত দেশগুলোতে ধার্মিক থেকে সেক্যুলার মনোভাবে রূপান্তরিত হওয়ার সংখ্যা কমে যাবে। অথবা, সম্ভবত ধার্মিকের সংখ্যা বেড়ে যাবে,’ জানান এই সমীক্ষার অন্যতম গবেষক, রাশিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব হায়ার স্কুল অব ইকোনমিক্সের আন্দ্রে করোতাভ।
দীর্ঘদিন ধরে দেখা যায়, তরুণদের চেয়ে বয়স্ক লোকেরা বেশি ধার্মিক হয়। ছয়টি বিষয়কে সামনে রেখে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই সমীক্ষা পরিচালনা করেন গবেষকরা। অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডা, গ্রেট ব্রিটেন, ইসরায়েল, নিউজিল্যান্ড, জাপান, জার্মানিসহ আরো কয়েকটি ইউরোপিয়ান দেশে এই সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়।
গবেষকরা দেখান, উন্নত দেশগুলোতে জাতীয়তার চেয়েও ধার্মিক হয়ে উঠতে বয়স বেশি প্রভাব ফেলে। গবেষকদের মতে, জাতীয়তা গির্জায় উপস্থিতি কিংবা জীবনে ধর্মবিশ্বাসের গুরুত্বে প্রভাব ফেলে, কিন্তু বয়স এখনো ধর্মবিশ্বাসের ক্ষেত্রে জাতীয়তার চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।