ভারত-পাকিস্তান পরমাণু শক্তিধর, ঝামেলা মেটাতে হবে : ট্রাম্প
কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে; এ সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এ সময় ট্রাম্প আবারও জানালেন, কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করতে ‘তাঁর পক্ষে যতটা করা সম্ভব’ তিনি তা করবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো জানান, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে তাঁর ‘খুবই ফলপ্রসূ আলোচনা’ হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘পাকিস্তান ও ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে কথা হয়েছে। আমার পক্ষ থেকে যথাসম্ভব সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছি। সেটা সালিশ হোক কিংবা মধ্যস্থতা হোক।’
ট্রাম্প আরো বলেন, ‘দুই দেশের রাষ্ট্রনায়কই আমার খুব ভালো বন্ধু। আমি বলেছি, আপনারা বোঝাপড়া করে সমস্যা মিটিয়ে ফেলুন। দুটি দেশই পরমাণু শক্তিধর, এ সমস্যা মেটাতে হবে।’
গত মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। ওই দিনই ট্রাম্প পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
কিন্তু নরেন্দ্র মোদি ও ইমরান খানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আলাপ-আলোচনা সত্যিকার অর্থে কী গুরুত্ব বহন করে?
ভারতীয় সাংবাদিক মাহা সিদ্দিকি টুইটে লিখেন, ‘ভারত ও পাকিস্তান যা শুনলে খুশি হবে, তাদের সেটাই বলেছেন ট্রাম্প। আর নিজের আসল নজরটা রেখেছেন মার্কিন সেনা ও আফগানিস্তানে মার্কিন স্বার্থ রক্ষার দিকে।’
আরেক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শেখর গুপ্ত বলেন, ‘ট্রাম্প আসলে ট্রাম্পসুলভ কাজই করেছেন... তিনি ভারতের কাছ থেকে চান বাণিজ্য চুক্তি, আর আফগানিস্তানে চান পাকিস্তানের কাছ থেকে সহায়তা। আর অবশ্যই নোবেল পদকটাও চান তিনি। ভারত বা পাকিস্তান কিংবা এ দুই দেশের নেতাদের নিয়ে ট্রাম্পের কোনো মাথাব্যথা নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একটি দেশের অগ্রাধিকার রয়েছে। আমি মনে করি, ভারত/মোদি এ ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে।’