ইয়েমেনে সৌদি হামলা, মসজিদে আশ্রয় নেওয়া পরিবারের ৫ সদস্য নিহত
ইয়েমেনের ওমরান প্রদেশের একটি মসজিদে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের বিমান হামলায় এক পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে আজ সোমবার দাবি করেছে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত সংগঠন হুতি আন্দোলন। এ ছাড়া হুতিদের টেলিভিশন চ্যানেল আল-মাসিরাহ জানিয়েছে, হামলার পর থেকে ওই পরিবারের দুই শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
টিভি চ্যানেলটির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গতকাল রোববার সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে বিমান হামলা চালালে একটি মসজিদে আশ্রয় নেয় ইয়েমেনি পরিবারটি। আল-মাসিরাহ চ্যানেল এক প্রতিবেদনে জানায়, নিখোঁজ শিশুদের সন্ধানে মসজিদের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
তবে মসজিদে হামলা চালানোর বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি সৌদি আরব।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের বড় দুটি তেলক্ষেত্রে হামলা চালানোর দাবি করার পর, গত শুক্রবার এক হুতি কর্মকর্তা জানান, সৌদি আরব ইয়েমেনের ওপর হামলা চালানো বন্ধ করলে তাঁরাও সৌদি আরবের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো বন্ধ করবে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের আবকাইক ও খুরাইস দুটি তেলক্ষেত্রে হামলা চালানো হয়। এতে তেলের বিশ্ববাজারে প্রভাব পড়ে। গত বুধবার সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই ড্রোন হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে। তারা জানায়, ইরানের জড়িত থাকার বিষয়ে তাদের কাছে তথ্যপ্রমাণও রয়েছে। তবে ড্রোন ঠিক কোন জায়গা থেকে উড্ডয়ন করেছে তা জানাতে পারেনি সৌদি আরব।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ইরানকে দায়ী করছে। মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বলেছেন, এ হামলায় ইরানের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন তাঁরা।
তবে ইরান এতে জড়িত থাকার কথা শক্তভাবে অস্বীকার করে আসছে। তবে আঘাত হলে সমুচিত জবাবের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ।