ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করায় অঞ্চলটিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ নিয়ে পরবর্তীতে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে এবার জঙ্গিবাদ ইস্যুতে দিল্লিকে সমর্থন জানিয়ে ইসলামাবাদকে দোষারোপ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানায়, বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বিশেষ বিতর্ক চলাকালে আইনপ্রণেতা রিসার্ড চার্জনায়েস্কি এবং ফুলভিও মার্তুসিয়েলো কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে সমর্থন জানিয়ে দেশটিকে একটি সুপ্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। একই সঙ্গে অধিবেশনে তাঁরা সশস্ত্র জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য পাকিস্তান সরকারের নিন্দাও জানিয়েছে।

অধিবেশনে চার্জনায়েস্কি বলেন, ‘ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক একটি দেশ। যদিও দেশটির জম্মু ও কাশ্মীরে যা ঘটছে এবার আমাদের সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। এই জঙ্গিরা কখনোই চাঁদ থেকে আসেনি। তারা প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান থেকে এসেছে। তাই আমাদের এখন অবশ্যই ভারতকে সমর্থন জানানো উচিত।’

এ দিকে ইইউ পার্লামেন্টের সদস্য এবং ইতালির ইউরোপীয় পিপলস পার্টির (খ্রিষ্টান ডেমোক্র্যাটস) জ্যেষ্ঠ নেতা মার্তুসিয়েলো বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান এরইমধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছে। এটি ইইউর জন্য ভীষণ উদ্বেগ জনক।’

মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ইসলামাবাদকে অভিযুক্ত করে ইইউর এই আইনপ্রণেতা বলেন,বর্তমানে পাকিস্তান এমন একটি জায়গায় পৌঁছেছে; যেখান থেকে জঙ্গিরা ইউরোপে রক্তাক্ত সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা চালাতে সক্ষম।

এর আগে গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছিল ক্ষমতাসীন মোদি সরকার। যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে বিতর্কিত লাদাখ ও জম্মু ও কাশ্মীর সৃষ্টির প্রস্তাবেও সমর্থন জানানো হয়।

এসবের মধ্যেই চলমান কাশ্মীর ইস্যুতে পাক-ভারত মধ্যকার সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এরইমধ্যে একে একে ভারত সরকারের সঙ্গে বাণিজ্য, যোগাযোগসহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান। যদিও এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে ভারত পাশে পেয়েছে রাশিয়াকে এবং পাকিস্তান সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ ইরান।