খনিতে ড্রোন হামলার পর তেল উৎপাদন কমাল সৌদি আরব
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা আরামকো পরিচালিত প্রক্রিয়াজাতকরণ স্থাপনা ও খনিতে ড্রোন হামলার ঘটনার পর তেল ও গ্যাস উৎপাদন কমিয়েছে দেশটি।
সৌদির জ্বালানিমন্ত্রী প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সালমান জানিয়েছেন, এ হামলার পর থেকে অপরিশোধিত তেলের আমদানি দিনে অন্তত ৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন ব্যারেল হ্রাস পেয়েছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) এক বিবৃতিতে প্রিন্স আবদুল আজিজ বলেন, ‘এ হামলার ফলে আবকাইক ও খুরাইস প্ল্যান্ট থেকে সাময়িকভাবে উৎপাদন স্থগিত করা হয়েছে।’
এদিকে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্র এ হামলার দায় স্বীকার করে জানান, ওই হামলায় ১০টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল।
অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ হামলায় ইরানকে দায়ী করে দাবি করছেন, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে ইয়েমেন থেকে এ হামলা চালানো হয়েছে। পম্পেও বলেন, ‘আমরা সব দেশকে ইরানের এমন হামলায় নিন্দা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এক টুইটবার্তায় মাইক পম্পেও এ আক্রমণকে বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহে অনেক বড় আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছেন।
সৌদি আরব পশ্চিমা সমর্থিত সামরিক জোটের নেতৃত্বে ইয়েমেন সরকারকে সমর্থন করে আসছে। অন্যদিকে, ইরান ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে।
গতকাল শনিবার সৌদি আরবে আরামকো কোম্পানির প্রক্রিয়াজাতকরণ স্থাপনা আবকাইক ও তেলখনি খুরাইসে ড্রোন হামলার জেরে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের বেশ কয়েকটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। এসব ভিডিওতে দেখা গেছে, আরামকোর তেল স্থাপনা আবকাইক ও খুরাইস তেলক্ষেত্র থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে। পাশাপাশি একটি ভিডিওতে গুলির শব্দও শোনা গেছে।