‘হিন্দুস্তান সেরা’ গাইলেন পাকিস্তানি রাজনীতিক, অন্তর্জালে ঝড়
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর থেকে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক চূড়ান্ত অবনতি ঘটেছে। রাজনৈতিক নেতা থেকে অভিনেতা ও খেলোয়াড় সবার মধ্যেই কেমন যেন যুদ্ধংদেহী মনোভাব। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দফায় দফায় টুইটারে পোস্ট ছাড়ছেন। দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজমান।
এমন পরিস্থিতিতে একেবারে অন্য রকম বার্তা দিলেন পাকিস্তানের মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) পার্টির প্রতিষ্ঠাতা আলতাফ হুসেইন। পাকিস্তানের এই রাজনৈতিক নেতা গাইলেন হিন্দুস্তানভিত্তিক দেশাত্মবোধক গান ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’।
এক বিবৃতিতে এমকিউএম পার্টির এই নেতা বলেন, ‘৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করা ভারতের একান্তই নিজস্ব ব্যাপার। ভারতের জনগণের সমর্থন নিয়েই ভারত সরকার সিদ্ধান্তটি নিয়েছে।’
বক্তব্যের একপর্যায়ে ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’ গানটি গান আলতাফ হুসেইন।
#WATCH London: Founder of Pakistan’s Muttahida Qaumi Movement (MQM) party, Altaf Hussain sings 'Saare jahan se acha Hindustan hamara.' pic.twitter.com/4IQKYnJjfB
— ANI (@ANI) August 31, 2019
‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’ গানটি মূলত একটি কবিতা। শিশুদের জন্য গজল ধাঁচে দেশাত্মবোধক এই কবিতাটি লিখেছিলেন উপমহাদেশের বিখ্যাত উর্দু ভাষাভাষী কবি মুহাম্মদ ইকবাল। কবিতাটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় ১৯০৪ সালের ১৬ আগস্ট সাপ্তাহিক জার্নাল ইত্তেহাদে। সে সময় কবিতাটি ‘তারানাহ-ই-হিন্দি’ (হিন্দুস্তানের জনগণের জাতীয় সংগীত) নামে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
১৯০৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার লাহোর সরকারি কলেজে কবিতাটি আবৃত্তি করেন ইকবাল। দ্রুত তৎকালীন ব্রিটিশ রাজবিরোধীদের জাতীয় সংগীত হয়ে ওঠে কবিতাটি। গানটিতে হিন্দুস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান) বন্দনা করা হয়েছে।
১৯৪৭ সাল-পরবর্তী সময়ে গানটি কেবল ভারতের জনপ্রিয় সংগীত হিসেবে পরিচিতি পায়। ভারতের দেশাত্মবোধক সংগীত হিসেবে প্রায়ই দেশটির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গানটি গাওয়া হয়। এ ছাড়া এটি ভারতীয় সামরিক বাহিনীর রণসংগীত হিসেবেও পরিচিত।