ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিনের পরিবার এখন ‘রাষ্ট্রহীন’
শনিবার ভারতের আসাম রাজ্যের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা (এনআরসি) প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলি আহমেদের পরিবারের কয়েকজন সদস্যের নাম সেই তালিকায় খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানায়, চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ফখরুদ্দিন আলি আহমেদের ছোট ভাই ইকরামুদ্দিন আলি আহমেদের ছেলে জিয়াউদ্দিন আলী আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের নাম।
ভারতের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি ছিলেন ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ। তিনি ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্বপালন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা দ্বিতীয় ভারতীয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন তিনি। ফখরুদ্দিন আলি গুরজার জাতিগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা একমাত্র ব্যক্তি ছিলেন।
চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদপড়ার পর ফখরুদ্দিন আলির নাতি সাজিদ আলি আহমেদ (জিয়াউদ্দিন আলী আহমেদ ছেলে) জানান, তাঁর নাম আসাম রাজ্যের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকায় নেই। এমনকি তাঁর বাবার নামও নেই সেই তালিকায়।
ইন্ডিয়া টুডেকে সাজিদ আলি বলেন, ‘আমার দাদার নাম ইকরামুদ্দিন আলি আহমেদ। এবং তাঁর ভাই ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ। আমি তাঁর নাতি। আমরা আসামের কামরূপের রঙ্গিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছি। আমরা এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা। চূড়ান্ত নাগরিক তালিকায় আমাদের নাম নেই তাই আমরা চিন্তিত। আমরা সাবেক রাষ্ট্রপতির পরিবারের লোক কিন্তু আমাদেরই নাম নেই নাগরিক তালিকায়।’
এ ছাড়াও, ২০১৮ সালে এনআরসির দ্বিতীয় খসড়া তালিকায় প্রকাশিত হয়। সে সময় ওই তালিকায় এই সাবেক রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যদের নাম ছিল না। তখন এ কারণে বিতর্ক হয়েছিল। এনআরসি কর্তৃপক্ষ তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণের উপযুক্ত প্রমাণ হাজির করতে বলেছিল। ফখরুদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা তা দাখিল করেছিলেন।
তাদের দাবি, নথি জমা দেওয়াতে তাদের কোনো ত্রুটি ছিল না। এর পরও চূড়ান্ত নাগরিক তালিকায় নেই তাদের নাম।