নিজেকে যিশুর সঙ্গে তুলনা করলেন ট্রাম্প?
হাস্যকর ও বেফাঁস মন্তব্যের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অনেক সময় সামনে-পিছনে চিন্তা না করেই কোনো বিষয়ে মন্তব্য করেন তিনি। এ কারণে নানা মহলে অনেকবার সমালোচিতও হয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আরেকবার তিনি অবিবেচকের মতো একটি মন্তব্য করে বসলেন।
তবে এবারের মন্তব্য অন্য সময়ের তুলনায় একটু বেশি বিস্ময়কর। ট্রাম্প নিজের সম্পর্কে বলেন, তিনি অন্য সব মার্কিন প্রেসিডেন্ট থেকে অনেক বেশি দক্ষ, যদিও এটি একটি বিতর্কিত দাবি তার।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, ট্রাম্প নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে অন্য সব প্রেসিডেন্টকে খাটো করেছেন। তিনি অন্য সব মার্কিন প্রেসিডেন্ট থেকে নিজেকে অনেক বেশি দক্ষ বলেছেন। শুধু তাই নয়, এখন তিনি খ্রিস্টান ধর্মের প্রবর্তক ঈসা মসিহর (হজরত ঈসা আ.) মতো করে নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরছেন।
নিজের সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বাছাইকৃতদের একজন।’
এরপর ট্রাম্প একজন তাত্ত্বিকের উদ্ধৃতি দেন, যিনি তাঁকে (ঈসা) আক্ষরিক অর্থে ইসরাইলের রাজার মতো বলে বর্ণনা করেছিলেন এবং বলেছিলেন, যে ইহুদিরা তাঁকে ‘ঈশ্বরের দ্বিতীয় আগমনের মতো ভালোবাসে’-যিনি ঈসা মসিহ হিসেবে পরিচিত।
নিউইয়র্ক টাইমসের এডিটরিয়াল বোর্ডের একদল ঝানু সাংবাদিকের সামনে ডেনমার্ক সফর বাতিল প্রসঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প এমন হাস্যকর কথা বলেন।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড বিক্রিতে রাজি না হওয়ায় ডেনমার্ক সফর বাতিল করেন ট্রাম্প। ড্যানিশ রানি দ্বিতীয় মারগ্রেথের আমন্ত্রণে আগামী ২ সেপ্টেম্বর ডেনমার্ক সফরের কথা ছিল ট্রাম্পের।
কিন্তু স্থানীয় সময় মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেনমার্ক সফর বাতিল করেছেন। ট্রাম্প টুইট বার্তায় বলেছেন, তিনি ডেনমার্ক সফরের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন কারণ ড্যানিশ প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিক্সেন ‘গ্রিনল্যান্ড বিক্রির ব্যাপারে আলোচনার কোনো আগ্রহ দেখাননি।’
এদিকে ডেনিস প্রধানমন্ত্রী বলেন, ট্রাম্পের এই ধরনের প্রস্তাব খুবই অদ্ভুত। তাঁর সফর বাতিলে ডেনমার্ক বিব্রত। তিনি বলেন, গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল, এটি বিক্রির জন্য নয়। গ্রিনল্যান্ডের নিজস্ব সরকার ব্যবস্থা রয়েছে। গ্রিনল্যান্ডের নেতা কিম কেলসেন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এই দ্বীপ বিক্রি করা হবে না।
ড্যানিশ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাঁর দেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি আশা করছেন, এই সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাবে না। ট্রাম্পকে অতিথি হিসেবে বরণ করতে তাঁর দেশ পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়েছিল।
এর আগে গত শুক্রবার দ্বীপ কেনার ব্যাপারে ট্রাম্পের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিল ড্যানিশ কর্তৃপক্ষ।