মালয়েশীয়দের কাছে ক্ষমা চাইলেন জাকির নায়েক
ডা. জাকির নায়েকের একটি বক্তব্যকে বর্ণবাদ স্পর্শকাতর উল্লেখ করে মালয়েশিয়ায় বিতর্ক ছড়ালে মালয়েশীয়দের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এই ভারতীয় ইসলামী বক্তা। ভারত সরকারের তোপের মুখে পড়ে মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেন ডা. জাকির নায়েক। বর্ণবাদ ইস্যুকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয় বহু জাতি-ধর্মের দেশ মালয়েশিয়ায়।
আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ডা. জাকির নায়েক বলেন, ‘আমার মন্তব্যকে প্রেক্ষাপটের বাইরে গিয়ে নেওয়া হয়েছে। বক্তব্যকে অদ্ভুতভাবে বিকৃত করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা সম্প্রদায়কে আঘাত করার অভিপ্রায় ছিল না আমার। ইসলামী চিন্তদর্শনের সঙ্গে এটি যায় না। ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমি অন্তরের অন্তস্তল থেকে ক্ষমা চাইছি।’
এদিকে, এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল সোমবার ডা. জাকির নায়েককে প্রায় ১০ ঘণ্টা আটকে রাখে মালয়েশীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এ মাসের শুরুতে ডা. জাকির নায়েক বলেন, ‘মালয়েশিয়ার হিন্দুরা ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি অধিকার ভোগ করে এবং চীনারা একসময় মালয়েশিয়ার মেহমান ছিল। যেখানে তিন কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ মুসলমান আর বাকিরা চীনা ও ভারতীয়। সেখানে ভারতীয়দের সিংহভাগ হিন্দু ধর্মাবলম্বী।’
২০১৬ সালে ভারতে তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়ানোর অভিযোগ তোলা হয়। এরপর তাঁর প্রতিষ্ঠান ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন (আইআরএফ) ও ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পর থেকে তিনি মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন। সম্প্রতি তাঁকে দেশটির নাগরিকত্ব দিতে চান প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। যদিও তিনি সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি নিয়ে অবস্থান করছেন। এর বিরোধিতা করে তাঁকে মালয়েশিয়া থেকে বের করে দেওয়ার দাবি করেন মালয়েশিয়া সরকারের তিন মন্ত্রী। তাঁদের দাবি, মালয়েশিয়ায় থাকারই অধিকার নেই ডা. জাকির নায়েকের।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ গত রোববার বলেন, ‘জাকির নায়েকের ইসলাম প্রচারে কোনো বাধা নেই। তবে মালয়েশিয়ার বর্ণবাদ ইস্যুতে বক্তব্য না দিতে জাকির নায়েককে অনুরোধ জানান মাহাথির। যদিও দেশটির সাত প্রদেশে প্রকাশ্যে বক্তব্য দেওয়ায় নিষোধাজ্ঞা রয়েছে জাকির নায়েকের ওপর।