জম্মুতে নেই নিষেধাজ্ঞা, কাশ্মীরে থাকছে বিধিনিষেধ
জম্মু থেকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তবে কাশ্মীরে আরো ‘কিছু সময়ের জন্য’ জারি থাকবে কড়া বিধিনিষেধ। গতকাল বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, চলমান থমথমে পরিস্থিতিতেও কাশ্মীর উপত্যকায় বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ক্রমে কাশ্মীর উপত্যকায় আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো সরিয়ে নেওয়ার কথা বলার ঠিক একদিন পরেই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার এ ঘোষণা দেওয়া হলো। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
শ্রীনগরে এক সংবাদ সম্মেলনে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের অন্যতম জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মুনির খান বলেন, ‘জম্মুতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো পুরোপুরি উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে কাশ্মীরের কিছু জায়গায় আরো কিছু সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে।’
মুনির খান জানান, এ মুহূর্তে মূল লক্ষ্য হলো রাজ্যজুড়ে শান্তিপূর্ণভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নিশ্চিত করা।
গত মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা আরোপকে ন্যায়সংগত দাবি করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জীবনহানি অথবা বিধিনিষেধ—এ দুটোর মধ্যে বিধিনিষেধকেই বেছে নেয়।
গত ৪ আগস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীরকে কড়া নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর ৫ আগস্ট ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫-ক অনুচ্ছেদদ্বয় বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অবলুপ্ত করে। পাশাপাশি রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ওই অঞ্চলে যেন কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না সৃষ্টি হয়, সে জন্য কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার।
কাশ্মীরের দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিসহ উপত্যকার প্রায় ৪০০ রাজনৈতিক নেতা এখনো আটক আছেন। জম্মু ও কাশ্মীরে মোতায়েন রয়েছে ৫০ হাজারের বেশি নিরাপত্তারক্ষী। এ ছাড়া উপত্যকায় টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট এখনো বন্ধ রয়েছে।