প্রিয়াঙ্কাকে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল নিহতদের স্বজনরা
ভারতের উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ১০ জন নিহতের ঘটনায় তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। গত শুক্রবার সোনভদ্রে যাওয়ার পথে মির্জাপুর এলাকায় প্রিয়াঙ্কার পথ আটকে দেয় পুলিশ।
এ সময় তাঁর রাস্তা আটকানোর প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর পাশেই বসে পড়েন সঙ্গে থাকা অন্য কংগ্রেস কর্মীরা। তাঁদের ঘিরে রাখেন প্রিয়াঙ্কার নিরাপত্তারক্ষীরা।
সোনভদ্রে যাওয়ার পথে পুলিশ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর রাস্তা আটকানোর পর প্রিয়াঙ্কা মির্জাপুরে অবস্থিত একটি গেস্ট হাউজে অবস্থান নেন।
সংবাদমাধ্যম দি হিন্দু এক প্রতিবেদনে জানায়, সোনভদ্রে প্রিয়াঙ্কা যেতে পারেননি ঠিকই, তবে নিহত পরিবারের ১২ জন সদস্য প্রিয়াঙ্কার সাথে দেখা করতে ঠিকই চলে আসেন মির্জাপুরে অবস্থিত ওই গেস্ট হাউজে।
আর প্রিয়াঙ্কাকে দেখেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিহতদের স্বজনরা। আপনজন হারানো স্বজনদের দীর্ঘশ্বাসে ভারী হয়ে ওঠে চারপাশ। এ সময় অশ্রুসিক্ত হয়ে পরেন প্রিয়াঙ্কা নিজেও।
এ সময় প্রিয়াঙ্কাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন তারা। প্রিয়াঙ্কাও তাদের সান্ত্বনা দিয়ে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
পথ আটকানোর পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমি শুধু যাদের নির্মমভাবে মেরে ফেলা হয়েছে, তাদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলাম। আমার ছেলের বয়সী একটি ছেলেকেও গুলি করা হয়েছে। সে এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। আমাকে বলুন, কোন আইনে আমার পথ রোধ করা হলো?’
এর আগে সোনভদ্রে যাওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক । এ ছাড়া সোনভদ্রের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছিল কংগ্রেস। একই সঙ্গে এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ২৫ লাখ রুপি ও আহতদের ১৫ লাখ রুপি করে আর্থিক সহায়তার দাবি জানায় কংগ্রেস।
এদিকে সোনভদ্রের ঘটনায় নিহতরা বিচার পাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। এ ঘটনায় সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট এবং আরো চার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সোনভদ্রের ঘটনায় ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।