মৃত্যুর ১৮ বছর পর ফিরে এসেছেন প্রিন্সেস ডায়না!
অস্ট্রেলিয়ার চার বছরের এক শিশু নাকি আগের জন্মে ছিল প্রিন্সেস ডায়না! চমকে উঠলেন কি? চমকপ্রদ তথ্যই বটে। আরো অবাক হবেন হয়তো যদি জানেন, বিলি ক্যাম্পবেল নামের শিশুটি মাত্র চার বছর বয়সেই গড়গড় করে বলছে প্রয়াত ব্রিটিশ রাজবধূ ডায়নার জীবনের বিভিন্ন ঘটনার কথা। তাহলে কি সত্যিই প্রিন্সেস ডায়না ফিরে এসেছেন পৃথিবীতে?
বিলির বাবা ডেভিড ক্যাম্পবেল অস্ট্রেলিয়ার একটি টিভি চ্যানেলের সঞ্চালক। ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি একটি ম্যাগাজিনে লেখা একটি কলামে ডেভিড ক্যাম্পবেল লেখেন, মাত্র দুবছর বয়স থেকে নিজেকে প্রয়াত ব্রিটিশ প্রিন্সেস ডায়না দাবি করে আসছে বিলি। কেবল কথার কথাই নয়, ডেভিড ক্যাম্পবেলের দাবি ডায়নার জীবনে ঘটে যাওয়া এমন কিছু ঘটনার বর্ণনা তাঁর ছেলে দিয়েছে, যাতে অবাক না হয়ে উপায় নেই।
ডেভিড ক্যাম্পবেল তাঁর কলামে লেখেন, “বিলির বয়স তখন দুই। হঠাৎ একদিন প্রিন্সেস ডায়নার একটি ছবিতে আঙুল দিয়ে বিলি বলে, ‘এটা আমি। আমি তখন প্রিন্সেস ছিলাম।’”
বিলির কথাবার্তা শুনে অবাক হয়ে ডেভিড ও তাঁর স্ত্রী ছেলেকে পরীক্ষা করার জন্য ডায়না ও ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিভিন্ন ছবি দেখান। ব্রিটিশ রাজপরিবার সম্পর্কে বিলির বেশি ধারণা থাকার কথা নয়। অথচ বাবা-মাকে হতবাক করে দিয়ে বিলি জানায়, ‘জন’ নামে তার নাকি এক ভাই ছিল। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, বিলির বাবা-মা খোঁজ নিয়ে দেখেন, আসলেই ডায়নার এক ভাইয়ের নাম ছিল জন।
কেবল এটাই নয়, প্রিন্সেস ডায়নার দুই ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারির নামও বলেছে বিলি। এমনকি প্রিন্সেস ডায়নার বাসভবনের হুবহু বর্ণনা দিয়েছে বিলি। ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদের বিভিন্ন কারুকার্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিয়েছে চার বছরের বিলি।
১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট প্যারিসে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ডায়না।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য সানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেভিড ক্যাম্পবেলের দাবি, ডায়নার মৃত্যুর মুহূর্তের কথাও বলেছে বিলি।
ডেভিড তাঁর কলামে লেখেন, “(বিলির মা) ওকে ডায়নার একটি ছবি দেখালে বিলি বলে : ‘এটা হলাম আমি যখন প্রিন্সেস। এরপর একদিন সাইরেন বাজল, আর আমি প্রিন্সেস রইলাম না।’”
কলামের শেষে ডেভিড লেখেন, ‘বড় হয়ে বিলি কি সব ভুলে যাবে? জনগণের প্রিন্সেসের পুনরাবতার হতে কি পারবে সে?’