ভারত থেকে সাবমেরিন ধ্বংসকারী টর্পেডোর চালান গেল মিয়ানমারে

Looks like you've blocked notifications!

ভারত থেকে সাবমেরিন ধ্বংসকারী অত্যাধুনিক হালকা প্রযুক্তির টর্পেডো (টিএএল) শিয়েনার একটি চালান মিয়ানমারে পাঠানো হয়েছে।

দুই বছর আগে ২০১৭ সালের একটি রপ্তানি চুক্তির আওতায় ভারত মিয়ানমারের নৌবাহিনীর কাছে এসব প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করছে।

ভারতের সামরিক ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইফফিস্টের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এ খবর নিশ্চিত করেছে।

ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ভারত ডায়নামিকস লিমিটেড (বিডিএল) এসব টর্পোডো তৈরি করেছে।

টিএএল শিয়েনা ভারতে স্থানীয়ভাবে তৈরি প্রথম সাবমেরিন প্রতিরোধী হালকা টর্পেডো। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) ন্যাভাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ল্যাবরেটরিতে এর মডেল তৈরি হয়েছে এবং হায়দরাবাদের ভিশাখাপত্তনামে বিডিএলের নিজস্ব কারখানায় এসব টর্পেডো তৈরি করা হয়।

ভারত এর আগে মিয়ানমারে অ্যাকোয়াস্টিক ড্রোন, ন্যাভাল সোনারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। সীমান্তে বিদ্রোহ দমনেও দুই দেশ নিজেদের মধ্যে সহযোগিতায় সম্মত হয়েছে।

এবার নতুন করে শিয়েনা টর্পেডো সরবরাহ দুই দেশের মধ্যে জোরদার সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়। তবে টর্পেডোর সংখ্যা ও মিয়ানমার নৌবাহিনীর কোন বহরে এসব যুক্ত হবে সেই বিষয়ে প্রতিবেদনে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

এসব টর্পেডো রপ্তানির জন্য ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে ৩ কোটি ৭৯ লাখ ডলারের চুক্তি করে ভারত।

এই প্রযুক্তির টর্পেডোগুলো ভারতের নৌবাহিনীর ২৫ ইউনিটে রয়েছে। এগুলোর ওজন ২২০ কেজি এবং দৈর্ঘ্য ২৭৫০ মিলিমিটার ও ব্যাস ৩২৪ মিলিমিটার। এগুলোতে উচ্চমাত্রার ৫০ কেজি পরিমাণ বিস্ফোরক ভর্তি থাকে এবং এগুলোর কার্যকরী দূরত্ব সাত কিলোমিটার ও সর্বোচ্চ গভীরতা ৫৪০ মিটার পর্যন্ত।