যুক্তরাষ্ট্র ‘আগুন নিয়ে খেলছে’ : ইরানের পাল্টা হুঁশিয়ারি

Looks like you've blocked notifications!

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার হুঁশিয়ার করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘আগুন নিয়ে খেলছে’।

বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

জারিফ এনবিসি নিউজকে বলেন, ‘আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে।’

ইরানের পরমাণু কর্মসূচির লাগাম টেনে ধরার লক্ষ্যে গত বছর তেহরানের সঙ্গে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর করা আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর তারা ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন ইরান গুলি করে ভূপাতিত করার পর এ দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত হামলার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে  ইরানের বিরুদ্ধে হামলা স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র।

এ ছাড়া উপসাগরীয় অঞ্চলে তেলবাহী ট্যাঙ্কারে একের পর এক হামলার ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে আসছে ওয়াশিংটন।

এদিকে গত সপ্তাহে ইরান জানায়, ২০১৫ সালে করা পারমাণবিক চুক্তির আওতায় তেহরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের যে পরিমাণ সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তারা তা অতিক্রম করেছে।

জারিফ আরো বলেন, ‘কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তারা এসব মজুদ করতে পারবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর জন্য আমরা এটা করিনি। পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চাইলে আমরা অনেক আগেই তা করতে পারতাম।’

জাতিসংঘ সফরকালে তাঁর চলাফেরার ওপর যুক্তরাষ্ট্র বিনা প্রয়োজনে হয়রানিমূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর জারিফ এসব মন্তব্য করেন।

জারিফের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ওয়াশিংটন জাতিসংঘ সফরে জারিফকে  ভিসা দিলেও মিডটাউন ম্যানহাটনে ইরানের জাতিসংঘ মিশনের ছয় ব্লকের দিকে যেতে তাঁকে নিষেধ করা হয়েছে।

পম্পেও ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, ‘মার্কিন কূটনীতিকরা তেহরানে ঘোরাফেরা করতে পারে না। সুতরাং কোনো অজুহাতে ইরানের কূটনীতিকরা নিউইয়র্ক সিটিতে অবাধে ঘোরাফেরা করুক, আমরা তা দেখতে চাই না।’

জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিলে বুধবার জারিফের বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে। টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে এটি একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।