পর্যটকদের জন্য খোলা হলো ‘ফেরাউনের’ বেন্ট পিরামিড

Looks like you've blocked notifications!

১৯৬৫ সালে পর থেকে দীর্ঘ ৫৪ বছর পর পর্যটকদের জন্য আবার খুলে দেওয়া হলো ফারাও (ফেরাউন) স্নেফেরুর শাসনামলে নির্মিত প্রায় চার হাজার ৬০০ বছরের পুরোনো বেন্ট পিরামিড।

মিসরের রাজধানী কায়রোর দক্ষিণাঞ্চলে ১০১ মিটার উঁচু প্রাচীন এই পিরামিডটি স্থাপত্য বিবর্তনের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানায়, এর আগে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত পিরামিডটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত ছিল, যদিও ১৯৬৫ সালে মেরামতের কথা বলে সেটিকে বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ ৫৪ পর আবারও ৭৯ মিটার লম্বা, সংকীর্ণ সুড়ঙ্গ পেরিয়ে বেন্ট পিরামিডের অভ্যন্তরে প্রবেশের সুযোগ পাবেন পর্যটকরা।

পিরামিডটির পাশেই রয়েছে ১৮ মিটার উঁচু আরো একটি ছোট পিরামিড। বিশ্লেষকদের ধারণা, সেটি সম্ভবত স্নেফেরুর স্ত্রী হেতেফেরেসের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল। পর্যটকদের জন্য এবার সেটিকেও খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

১৯৫৬ সালে বড় একটি ফাটল দেখা দেওয়ার পর বেন্ট পিরামিডের কৌণিক অবস্থান পরিবর্তনে বাধ্য হন পুরাতাত্ত্বিকরা। মিসরের পুরাতত্ত্ব সুপ্রিম কাউন্সিলের মহাসচিব মুস্তাফা ওয়াজিরি বলেন, 'কে জানে? এই বেন্ট পিরামিডের মধ্যেই কোথাও সম্ভবত স্নেফেরুকে সমাহিত করে রাখা হয়েছে। তবে সেটি ঠিক কোথায় তা আমরা এখনো খুঁজে পাইনি।'

অতি প্রাচীন এই পিরামিডটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার অন্যতম কারণ, সভ্যতা মণ্ডিত এই দেশটির পর্যটন খাতে উৎসাহ বৃদ্ধি করা। কায়রো থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার দক্ষিণের শহর দাহশুরে কখনো পর্যটকের পা প্রায় পড়ে না বললেই চলে; অথচ এখানেও রয়েছে বিস্ময় সৃষ্টিকারী বেশ কিছু প্রাচীন স্থাপত্য। এবার সেগুলোকেই তুলে ধরতে এমন পদক্ষেপ বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।