ইরানি জাহাজ আটকালো যুক্তরাজ্য, কূটনৈতিক টানাপড়েন
ইরানের একটি তেলের ট্যাঙ্কার অবৈধভাবে আটক করার অভিযোগে তেহরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ইরান।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জিব্রাল্টার প্রণালি দিয়ে সিরিয়া যাওয়ার সময় তেলের ট্যাঙ্কারটি আটক করতে জিব্রাল্টারকে সহায়তা করে ব্রিটিশ রয়্যাল মেরিন।
এদিকে স্পেনের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধেই ‘গ্রেইস ১’ নামের ট্যাঙ্কারটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনাকে ‘জলদস্যুদের মতো কাজ’ বলে অভিহিত করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র। তবে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন মন্তব্যকে ‘বাজে কথা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ব্রিটিশ মেরিন সেনা ও জিব্রাল্টারের আইন-ৱশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তেলের ট্যাঙ্কারটি আটক করে জিব্রাল্টার বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিবিসি জানায়, জিব্রাল্টার সরকারের অনুরোধে যুক্তরাজ্য থেকে উড়ে আসে প্রায় ৩০ জন মেরিন সেনার একটি কমান্ডো দল।
Supertanker Grace 1 is believed to have breached the EU and U.S. sanctions by shipping of Iranian crude oil to Syria. It is is now anchored near Gibraltar pic.twitter.com/tWPkImmmKI
— TicToc by Bloomberg (@tictoc) July 4, 2019
এর পর ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মৌসাভি জানান, ‘অবৈধভাবে তেলের ট্যাঙ্কার আটক’ করায় তেহরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রবার্ট ম্যাকায়ারকে তলব করা হয়েছে।
ইরানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে মৌসাভি দাবি করেন, তেলের ট্যাঙ্কারটি আটক করতে কোনো বৈধ পন্থা ও আন্তর্জাতিক আইন মানা হয়নি। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ট্যাঙ্কারটি দ্রুত ছেড়ে দিতে বলেন।
মৌসাভি আরো বলেন, ‘এ ঘটনা প্রমাণ করে, যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতাপূর্ণ নীতির অনুসরণ করছে যুক্তরাজ্য, যা ইরানের জনগণ ও সরকার কখনোই বরদাশত করবে না।’
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা না মেনে সিরিয়ার উদ্দেশে তেলবাহী জাহাজ পাঠানোয় ইরানের ট্যাঙ্কার আটকের ঘটনাকে ‘দারুণ খবর’ বলে মন্তব্য করেছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। ইরানের এ ধরনের ‘অবৈধ উপায়ে ব্যবসা’ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান মার্কিন সরকারের এই কর্মকর্তা।