ইরানের হামলায় ভূপাতিত মার্কিন ড্রোনটির মূল্য কত জানেন?
সম্প্রতি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ভূপাতিত হয় আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন বিমান।
ইরানের অ্যারোস্পেস বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল আমির আলি হাজিজাদেহ বলেছেন, ওই হামলায় যুক্তরাষ্ট্র তাদের অত্যাধুনিক ও ব্যয়বহুল একটি গুপ্তচর বিমান হারিয়েছে।
ভূপাতিত ড্রোনটির মূল্য কত হতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গতকাল শুক্রবার ইরানভিত্তিক ইংরেজি সংবাদ মাধ্যম তেহরান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গ্লোবাল হক নামের ওই ড্রোনের নির্মাতা হলো মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বিষয়ক মার্কিন প্রতিষ্ঠান নরথ্রপ গ্রুম্যান করপোরেশন। এ ড্রোনগুলো মূলত পানিপথ ও উপকূলীয় অঞ্চলের তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে একেকটি গ্লোবাল হকের মূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক হাজার ১০০ কোটি। আকাশের অনেক উঁচু সীমায় ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে উড্ডয়নে সক্ষম গ্লোবাল হক। যেকোনো আবহাওয়ায় বিশাল এলাকার নিখুঁত ছবি তুলতে পারে এই ড্রোন।
فوری | ویدئو اختصاصی از هدف قرار گرفتن پهپاد آمریکایی RQ-4 (یا MQ-4C) توسط سامانه سوم خرداد. این پهپاد در ساعت 4:05 صبح امروز پس ورود به حریم هوایی ایران رهگیری و منهدم شد.#ویدئو #پدافند_هوایی #سوم_خرداد #عملیات #سپاه_پاسداران #هوافضا pic.twitter.com/Sds71mCOMH
— رسانه نیروهای مسلح ایران (@irMilitaryTube) June 20, 2019
ইরানের আকাশসীমায় ঢুকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার ভোররাতের দিকে জাস্ক জেলার কৌ-ই মোবারক নামক এলাকায় এ রকমই একটি গ্লোবাল হক ড্রোন ভূপাতিত করে ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলেশনারি গার্ডসের মহাকাশ বিষয়ক শাখা।
ড্রোনটি আকাশের অনেক ওপর থেকে ইরানের সীমানার ভেতর গোয়েন্দা নজরদারির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ইরানের। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ভূমি থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ড্রোনটিকে আঘাত করার সময় সেটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় ছিল।
হরমুজ প্রণালিতে একের পর এক তেলের ট্যাংকারে হামলা, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের বাকযুদ্ধ ও সর্বশেষ মার্কিন ড্রোন ভূ-পাতিত করার ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে, যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল উদ্বিগ্ন।
এরই মাঝে বৃহস্পতিবার ড্রোন ভূ-পাতিত করার প্রতিক্রিয়ায় গতকাল শুক্রবার ভোরে ইরানে পাল্টা হামলা চালাতে গিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল করেছেন বলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ।