সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে গেলেন থেরেসা মে। পদত্যাগ করার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর জন্য গণমাধ্যমের সামনে আসেন মে।

মাইক্রোফোনে বলতে থাকেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক চড়াই-উৎরাইয়ের গল্প।

ডাউনিং স্ট্রিটে বক্তৃতায় মে বলেন, ‘আমি আমার দায়িত্ব থেকে অবসর নিচ্ছি। এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা সম্মানের বিষয় ছিল।’

‘আমি ছিলাম ব্রিটেনের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু শেষ না। আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশের সেবা করেছি। আই লাভ.........।’

বক্তৃতার শেষে থেরেসা ‘আই লাভ ইউ’ বাক্যটিও সম্পন্ন করতে পারেননি। তার আগেই কান্নায় কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে। আর কিছু না বলে মাইক্রোফোন ছেড়ে স্থান ত্যাগ করেন থেরেসা মে।

গতকাল শুক্রবার ডাউনিং স্ট্রিটে থেরেসা মে এই আবেগঘন বক্তব্যটি দেন।

এ সময় মে জানান, আগামী ৭ জুন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি।

মে আরো জানান, নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনিই তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

ব্রেক্সিট ইস্যুতে বারবার ব্যর্থ হয়ে বেশ চাপের মুখে ছিলেন।

যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের ব্যাপারে নতুন পরিকল্পনা মন্ত্রিসভায় ও পার্লামেন্টে অনুমোদিত না হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন থেরেসা মে।

আগামী ৩১ অক্টোবর ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করার তারিখ নির্ধারিত থাকলেও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি দেশটির পার্লামেন্ট।