রাহুল গান্ধীর অফিসে জমছে পদত্যাগপত্র
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএর নিরঙ্কুশ বিজয় চমকে দিয়েছে সবাইকে। এনডিএ দখলে নিয়েছে ৩৫০টির বেশি আসন। এমনকি বিজেপি একক দল হিসেবেও তিনশর গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছে।
বিজেপির এই বিপুল বিক্রমে জয়ে একদিকে যেমন নরেন্দ্র মোদি আবার ভারতের ক্ষমতায় বসতে চলেছেন,অন্যদিকে মুখ লুকানোর অবস্থা হয়েছে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর।
গতকাল বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশ শুরু হওয়ার পর থেকে কংগ্রসের এই ভরাডুবির পরেই দলীয় সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
এবার রাহুলের পথ ধরেছেন দলের অন্য নেতারাও। রীতিমত কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর অফিসে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার ভিড় লেগে গেছে।
এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়, উত্তর প্রদেশের রাজ বাব্বারসহ তিনটি রাজ্যের কংগ্রেস প্রধান আজ রাহুল গান্ধীর কাছে তাঁদের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন।
রাহুল গান্ধীর ব্যর্থ নেতৃত্বের কারণেই কংগ্রেসের এমন পরাজয় বলে মনে করছেন দলের অন্য নেতারা। তাই কংগ্রেস থেকে গণহারে পদত্যাগ করছেন বিভিন্ন রাজ্যের শীর্ষ নেতারা।
কংগ্রেসের জন্য আরেকটি বড় দুঃসংবাদ হলো এবারের লোকসভা ভোটের ফলাফলের হিসাব অনুযায়ী ভারতের সংসদে বিরোধী দলের তকমাও খোয়াতে হচ্ছে কংগ্রেস। এবারের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে আরো একবার ব্যর্থ হলো কংগ্রেস। ২০১৪ সালে কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ৪৪টি আসন। যার ফলে গত লোকসভাতে সংসদের নিয়ম অনুযায়ী বিরোধী দলের তকমা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল কংগ্রেস।
কারণ, ভারতের মোট ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিরোধী দলের তকমা পেতে গেলে অন্তত ১০ শতাংশ আসনে জয়ী হতে হয়। যেখানে ২০১৪ সালে কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ৪৪টি আসন। আর এবার কংগ্রেস ৪৪টি আসনের গণ্ডি পার হলেও মাত্র ৫২টি আসনে এসে আটকে গেছে তারা। অথচ লোকসভায় বিরোধী রাজনৈতিক দল হতে গেলে প্রয়োজন অন্তত ৫৫টি আসন। ফলে এবারও সংসদে বিরোধী দলের মর্যাদা ধরে রাখতে ব্যর্থ হলো কংগ্রেস।