বিক্ষোভ ঠেকাতে কাশ্মীরে কারফিউর মতো অবস্থা
ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের আটটি পুলিশ স্টেশনের আশপাশের এলাকায় কারফিউফের মতো নিরাপত্তাব্যবস্থা ও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে কাশ্মীরের বিছ্ন্নিতাবাদী কয়েকজন নেতাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। মাংস খাওয়ার অভিযোগে এক মুসলমানকে বোমা মেরে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগে আজ সোমবার বিক্ষোভ ডেকেছে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে এক ট্রাকের সহকারী জাহিদের ওপর পেট্রলবোমা হামলা হয়। ধারণা করা হয়, গুরুর মাংস খেয়েছে এমন গুজবের কারণেই তাঁর ওপর এই হামলা করে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে দিল্লির হাসপাতালে নেওয়া হয়। নয়দিন পর গতকাল রোববার তাঁর মৃত্যু হয়। জাহিদের মৃত্যুর ঘটনায় জম্মু ও কাশ্মীরে বিক্ষোভ ডাকা হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ জানিয়েছে, রোববার প্রচণ্ড বিক্ষোভ হয়েছে। তাই আজ পূর্ব নিরাপত্তার অংশ হিসেবে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ কাশ্মীরের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ট্রাকের সহকারী জাহিদের জানাজা ও দাফনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় অনন্ত নাগ ও বিজবেহারা পুলিশ স্টেশনের কাছাকাছি সাধারণ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। একই রকম নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের আরো ছয়টি পুলিশ স্টেশনের আশপাশের এলাকায়।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ডানপন্থী হুরিয়াত নেতা সৈয়দ আলী শাহ জিলানী ও জেকেডিএফপি নেতা সাবির আহমেদ শাহসহ কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী কয়েক নেতাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার জাহিদের মৃত্যুর খবর প্রচার হওয়ার পর জম্মু ও কাশ্মীরের অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় এবং প্রায় সব স্থানেই বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দফায় দফায় প্রচণ্ড সংঘর্ষ হয়।