মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ বাংলাদেশিসহ নিহত ১১
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে যাত্রীবাহী বাস উল্টে ১১ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৩৪ জন।
গতকাল রোববার রাত ১১টা ১০ মিনিটে কুয়ালালামপুরের কে এল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের এমএএস কার্গো, জালান এস-৮ পেকেলিলিংয়ের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বাসটি নীলাই, নেগরি সেম্বিলান থেকে শ্রমিকদের নিয়ে আসার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আটজন নিহত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দুজন মারা যান।
নিহত বাংলাদেশিরা হলেন চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ উপজেলার দেবপুরের মো. আনোয়ারের ছেলে সোহেল (২৪) ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরভাগল গ্রামের মো. আমির হোসেনের ছেলে আলামিন (২৫), কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে মহিন (৩৭) ও দাউদকান্দি উপজেলার ঢাকাগাঁও গ্রামের মো. ইউনুস মুন্সির ছেলে মো. রাজিব মুন্সি (২৭) এবং নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার নোয়াখোলা গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে গোলাম মোস্তফা (২৩)। নিহতদের লাশ বর্তমানে সেরডাং হাসপাতালে আছে।
এ ছাড়া সেরডাং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত বাংলাদেশিরা হলেন মোহাম্মদ নাজমুল হক (২১), মোহাম্মদ রজবুল ইসলাম (৪৩) ও ইমরান হোসাইন (২১) এবং পুত্রাজায়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাহিদ হাসান (২১), শামীম আলী (৩২), মোহাম্মদ ইউনুস (২৭) ও মোহাম্মদ রাকিব (২৪)।
হতাহতদের মধ্যে একজন মালয়েশিয়া, দুইজন নেপাল ও দুইজন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকও রয়েছেন।
দুর্ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বাসটি শ্রমিকদের নিয়ে গতকাল রাতে নীলাই, নেগরি সেম্বিলান থেকে এয়ারপোর্ট অভিমুখে যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়।
কে এল আই এয়ারপোর্টের ওসিপিডির সহকারী কমিশনার জুলকিফলি আদম শাহ গণমাধ্যমকে বলেন, দুর্ঘটনার সময় বাসটি ৪৩ জন শ্রমিক বহন করছিল। তাঁরা এমএএস কার্গোতে চুক্তিভিত্তিক কাজ করতেন।