পাকিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র হত্যার দায়ে ক্ষমতাসীন দলের তিনজনের যাবজ্জীবন
পাকিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মাশাল খান হত্যার দায়ে ক্ষমতাসীন তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির এক কাউন্সিলরসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী এক আদালত।
২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল খাইবার পাখতুনখাওয়ার মারদানে আবদুল ওয়ালি খান বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ বিভাগের ছাত্র মাশাল খান ধর্মবিদ্বেষের অভিযোগে গণপিটুনিতে নিহত হন। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে বৃহস্পতিবার তেহরিকের কাউন্সিলর আরিফ খান ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী আসাদ খান কাতলাংসহ আরো একজনের যাবজ্জীবন দেওয়া হয়।
রায়ে বলা হয়েছে, ভিডিও ফুটেজ ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দেখা যায়, তেহরিক-ই-ইনসাফের কাউন্সিলর আসাদ খান ছাত্রদের জমায়েতকে উসকানি দিয়েছেন এবং তাঁর এতে সরাসরি অংশ নেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত পরিষ্কার। এ ছাড়া আদালত জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী আসাদ খান মাশালকে লাথি মেরেছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়ায় তাঁকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মাশাল খানের বিরুদ্ধে অনলাইনে ইসলাম-বিদ্বেষী বক্তব্য প্রচারের অভিযোগ ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও স্থানীয়দের রোষের শিকার হয়ে মারা যান ২৩ বছর বয়সী মাশাল খান।