বল এখন ভারতের কোর্টে : আসিফ গফুর
পাকিস্তান সেনাবাহিনী মনে করে, দুটি পরমাণু অস্ত্রসংবলিত দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে এখন ভারতের ভূমিকা নেওয়ার পালা। এমনটি জানিয়েছেন পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর।
প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। পাকিস্তানের এই মেজর জেনারেল বলেন, ‘ভারতীয় পাইলটকে পাকিস্তানের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে নয়াদিল্লি কীভাবে নেবে তাই এখন দেখার বিষয়। তারা পরিস্থিতি শান্ত করতে ভূমিকা নেবে নাকি আরো উত্তেজনাকর এজেন্ডা হাতে নেবে তা ভারতের বিষয়।’ পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সাক্ষাৎকারে আসিফ গফুর বলেন, ‘তারা (ভারত) যদি অস্থিরতা বাড়াতে চায় তবে তার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দুটি দেশ যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। কারণ ভারত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি আকাশসীমা লঙ্ঘন করে আগ্রাসনের শুরুটা করেছে। এর একদিন পর পাকিস্তানি বিমান বাহিনী উম্মুক্ত জায়গায় যেখানে জনমানুষ কম এমন ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কামুক্ত জায়গায় আক্রমণ চালিয়ে জবাব দিয়েছে। তাতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’
সিএনএনকে গফুর জানান, নিয়ন্ত্রণ রেখা সীমান্ত এলাকায় বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সঙ্গত কারণেই সেখানে সার্বক্ষণিক নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতীয় সেনা বহরে এক আত্মঘাতী হামলায় প্রায় অর্ধশত ভারতীয় সেনা নিহত হয়। এ হামলার দায় স্বীকার করে পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ।
এ হামলায় পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত। পাকিস্তান তা নাকচ করে দেয়। পরে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা করে জইশ-ই-মোহাম্মদের ৩০০ জঙ্গিকে হত্যার দাবি করে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, ওই ঘটনায় কেবল একজন আহত হয়েছে।
এরপর পাকিস্তান তাদের ভূখণ্ডে ভারতীয় দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করে। এর একজন পাইলটকে আটকের দুদিন পর শান্তির বার্তাস্বরূপ মুক্তিও দেয় পাকিস্তান।