পাকিস্তানে ধরা পড়ার পর যা বললেন ভারতীয় পাইলট
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে আটক ভারতীয় এক পাইলটের ভিডিও প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয়। পরে অবশ্য তা মুছে দেওয়া হয়েছে, ততক্ষণে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে দেশটির গণমাধ্যমসহ আন্তর্জাতিক একাধিক গণমাধ্যমে ভিডিওটি পাওয়া যাচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ভিডিওতে দেখা যায় চোখবাঁধা এবং মুখে রক্তমাখা অবস্থায় ভারতীয় ওই পাইলট নিজেকে উইং কমান্ডার অভিনন্দন হিসেবে পরিচয় দেন।
ভারতীয় পাইলট বলেন, ‘আমার নাম উইং কমান্ডার অভিনন্দন। আমার সার্ভিস নম্বর ২৭৯৮১। আমি একজন ফ্লাইং পাইলট। আমার ধর্ম হচ্ছে হিন্দু।’
তারপর তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ‘আর কোনো তথ্য?’
আটক পাইলট বলেন, ‘দুঃখিত আমার এতটুকুই বলা উচিত।’
উত্তরে বলা হয়, ‘ঠিক আছে।’
আটক পাইলট আবার বলেন, ‘আমি কি একটা তথ্য পেতে পারি? আমি কি পাকিস্তানি আর্মির কাছে আছি?’
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রণালয় টুইট বার্তায় জানিয়েছে, ওই পাইলট ভূপাতিত ভারতীয় দুটি বিমানের একটিতে ছিলেন। এর আগে পাকিস্তান দাবি করে, তারা দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তাদের দাবি, হতাহতের ঘটনা এড়াতে বেসামরিক একটি টার্গেটে হামলা করা হয়েছে।
পাকিস্তানের মেজর জেনারেল আসিফ গফুর এক টুইটবার্তায় জানান, একজন ভারতীয় পাইলট ধরা পড়েছে তাঁর বাহিনীর কাছে।
আজ বুধবার প্রেস ব্রিফিংয়ে পাকিস্তানের মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, ‘মঙ্গলবার আমাদের ভূখণ্ডে ভারতীয় হামলার বিপরীতে এমন জবাব দেওয়া ছাড়া আসলে কোনো উপায় ছিল না। আমরা ভারতীয় সামরিক স্থাপনায় হামলা করছি না কারণ আমরা যুদ্ধের পথে যেতে চাই না।’
গতকাল মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে ১২টি মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বালাকোটে ‘জঙ্গি আস্তানা’য় ওই হামলা চালায়। ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এতে ৩০০ ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, ভারতীয় বিমানবাহিনীর নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রমের কথা স্বীকার করলেও হামলায় হতাহতের কথা স্বীকার করেনি পাকিস্তান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এতে একজন আহত হলেও কেউ নিহত হয়নি।
এর মধ্যেই বিকেলে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। যদিও এতে বিশেষ হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জম্মু, রাজৌরি, পুঞ্চের ৫৫টি ভারতীয় চৌকিতে গুলি ছুঁড়েছে পাকিস্তান। এতে পাঁচ সেনা আহত হয়েছে। সীমান্তসংলগ্ন এলাকার গ্রামের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে বেরোতে মানা করা হয়েছে।