কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বেকার হোস্টেলে প্রতিমন্ত্রী খালিদ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার স্পিথ রোডের বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত কক্ষ পরির্দশন করেছেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। আজ রোববার সকালে সেখানে যান বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল, কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান, কলাম লেখক সুভাষ সিংহ রায়, কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সচিব বি এম জামাল হোসেন, মোফাকখারুল ইকবাল, মনসুর আহমদ বিপ্লব প্রমুখ।
আজ সন্ধ্যায় কলকাতার সল্টলেকে আন্তর্জাতিক বইমেলা উৎসবে বাংলাদেশ দিবস পালিত হতে যাচ্ছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তার আগে এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই ঐতিহাসিক বেকার হোস্টেলে প্রতিমন্ত্রীসহ বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটি প্রবেশ করে। তারা বেকার হোস্টেলের স্মৃতি কক্ষে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর আবক্ষমূর্তিতে মাল্যদান করেন। এরপর তারা বেকার হোস্টেলের তৃতীয় তলায় বঙ্গবন্ধু যে কক্ষে থাকতেন সেই ২৪ নম্বর কক্ষে জাতির জনকের স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
রোববার কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বেকার হোস্টেলের কক্ষ পরির্দশন করেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। ছবি : এনটিভি
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতা পৌঁছান বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী। তবে রোববার দিনের কর্মসূচির শুরুতেই তিনি বঙ্গবন্ধুর এই স্মৃতি বিজড়িত কক্ষে যান। বঙ্গবন্ধু কলকাতায় ইসলামিয়া কলেজে ডিগ্রি পড়ার সময় এই হোস্টেলে থাকতেন। ১৯৪৫-৪৬ সাল পর্যন্ত তিনি এই বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে ছিলেন। বর্তমানে ইসলামিয়া কলেজের নাম বদলে রাখা হয়েছে মাওলানা আজাদ কলেজ।
১৯৯৮ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতিবসু ২৪ নম্বরের পাশের ২৩ নম্বর কক্ষটিকে যুক্ত করে স্মৃতিকক্ষ গড়ার উদ্যোগ নেন। ১৯৯৮ সালের ৩১ জুলাই বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক সত্যসাধন চক্রবর্তী। এই স্মৃতিকক্ষে এখনো সংরক্ষিত রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত খাট, চেয়ার, টেবিল ও আলমারি। রয়েছে বইপুস্তকও।