পুরস্কার ও সম্মাননা ফিরিয়ে দেওয়ার হিড়িক ভারতে
পুরস্কারপ্রাপ্তদের দেওয়া সম্মান ও খেতাব ফেরত দেওয়ার যেন হিড়িক পড়েছে ভারতে। সবশেষ এই তালিকায় যুক্ত হলেন লেখক সারা জোসেফ। ২০০৩ সালে পাওয়া সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
মালায়ম ভাষায় লেখা ‘আলাহেদ প্যানমাক্কাল’ উপন্যাসের জন্য পাওয়া পুরস্কারটি ফেরত দেওয়ার প্রসঙ্গে সারা বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে ভীতি বাড়ছে এবং স্বাধীনতা কমছে।’
যুক্তিবাদী লেখক এম এম কালবুর্গিকে হত্যা ও উত্তরপ্রদেশের দারদিতে গরুর মাংস খাওয়ার অপরাধে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সারা বলেন, ‘লেখকদের হত্যা করা হচ্ছে। গজলশিল্পীরা তাঁদের সংগীত পরিবেশনের অনুমতি পাচ্ছেন না – এটা সেই মুক্ত ভারত নয়, যেখানে আমি বাস করতাম।’
এনডিটিভিকে সারা জোসেফ বলেন, ‘এসবের বিরুদ্ধে সাহিত্য একাডেমি পুরোপুরি নীরব রয়েছে, অথচ এই সময় সবার আগে তাদেরই কিছু বলা উচিত ছিল। এর প্রতিবাদেই আমি আমার পুরস্কার ফিরিয়ে দিচ্ছি।’
প্রতিবাদী এই লেখকের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাহিত্য একাডেমির কমিটির সদস্য কেরালার কবি কে সচিদানন্দন। তিনি কালবার্গি হত্যার ঘটনায় আনুষ্ঠানিক নিন্দা জানাতে একাডেমিকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রস্তাবে সাড়া না পাওয়ায় কমিটির আনুষ্ঠানিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি।
সম্মাননা ফিরিয়ে দেওয়া কবি-সাহিত্যিকদের তালিকায় সারাই প্রথম নন। গতকাল দেশটির সাহিত্যিক শশী দেশপাণ্ডে সাহিত্য একাডেমির সাধারণ পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। একই দিন উর্দু ভাষার সাহিত্যিক রেহমান আব্বাস ২০১১ সালে পাওয়া তাঁর সাহিত্য একাডেমি পুরস্কারটিও ফেরত দেন।
এর আগে বাকস্বাধীনতা ও জীবনের নিরাপত্তার ওপর হামলার প্রতিবাদে লেখক নয়নতারা শাহগাল ও কবি অশোক বাজপেয়ি তাঁদেরকে দেওয়া সাহিত্য সম্মাননা ফেরত দেন।