শুধু বঙ্গবন্ধু নন, তিনি বিশ্ববন্ধু : মমতা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বঙ্গবন্ধু নন, তিনি বিশ্ববন্ধু। সেই বিশ্ববন্ধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মোমের ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সারা জীবন তাঁকে মনে রাখবেন। আমরা বঙ্গবন্ধুকে আমাদের হৃদয়ে স্থান করে দিলাম।’
আজ শুক্রবার শেখ মুজিবুর রহমানের একটি মোমের ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে মাদাম ওয়াকস জাদুঘরে। কলকাতার নিউটাউনে ওই জাদুঘর অবস্থিত। কলকাতায় পরমা উড়ালপুল উদ্বোধনের সময় রিমোটের মাধ্যমে বোতাম টিপে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য উন্মোচন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সারা জীবন বিশ্ববন্ধু বঙ্গবন্ধুকে তাঁদের হৃদয়ে রেখে দেবেন।’ বাংলা এবং বাঙালির সঙ্গে বঙ্গবন্ধু নামটি সারা জীবন জড়িয়ে থাকবে উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আজ শুধু বাঙালির কাছেই নয়, সারা বিশ্বের কাছে তিনি বিশ্ববন্ধু।’ তিনি বলেন, ‘তাঁর মোমের ভাস্কর্য কলকাতার মাদাম ওয়াকস মিউজিয়ামে রাখতে পেরে আমরা গর্বিত।’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তথা বঙ্গবন্ধুতনয়া শেখ হাসিনার কাছ থেকে যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি, তা ভুলবার নয়। আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানাতে চাই, আমরা বঙ্গবন্ধুকে ভুলিনি। বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে ভোলা যায় না।’
মাদাম ওয়াকস মিউজিয়ামে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তিটি পাঁচ ফুট ১১ ইঞ্চি লম্বা এবং ৪৪ ইঞ্চি চওড়া। এর ওজন ২২ কেজি। পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের কারিগর সুশান্ত রায় টানা এক মাস পরিশ্রম করে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যটি তৈরি করেন। এর জন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় তিন লাখ রুপি।
কলকাতার উল্লেখযোগ্য মাদাম ওয়াকস জাদুঘরে বিশিষ্ট মনীষীদের পাশাপাশি এখন থেকে শোভা পাবে শেখ মুজিবুর রহমানের এই ভাস্কর্য। উদ্বোধনের পর কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপদূতাবাসের উপরাষ্ট্রদূত জকি আহাদ বঙ্গবন্ধুর গলায় মাল্য দান করেন।
জকি আহাদ বলেন, আজ এই মোমের ভাস্কর্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু যেন অনেকটাই জীবন্ত হয়ে বেঁচে থাকবেন সবার কাছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাইরে এই প্রথম কোনো সরকারি উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপিত হলো। এ জন্য তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো বলেন, ‘দুই বাংলা যেমন ক্রমশ নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে, সেই বন্ধুত্বের বাঁধন আরো মজবুত করবে এই বঙ্গবন্ধুর মোমের ভাস্কর্য স্থাপনের মাধ্যমে। এই ভাস্কর্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর চেতনার আলো ছড়িয়ে পড়বে পশ্চিম বাংলাতেও। এদিন জকি আহাদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উপদূতাবাসের মুখ্য প্রেস সচিব মোফাকখারুল ইকবাল।