মহাজোট সরকারে এলে প্রতিদিন নতুন প্রধানমন্ত্রী হবে
মহাজোটের সরকার হলে ভারতে প্রতিদিন একজন নতুন করে প্রধানমন্ত্রী হবে। এমনই কটাক্ষ করে ভারতে বিজেপি বিরোধী মহাজোটকে এবার তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
বুধবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরে এক সভায় দাঁড়িয়ে মহাজোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন, সে প্রসঙ্গে বিরোধীদের আক্রমণ করে অমিত শাহ বলেন, মহাজোটের সরকার হলে সোমবার প্রধানমন্ত্রী হবেন মায়াবতী (বিএসপি), মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী হবেন অখিলেশ যাদব (সমাজবাদী পার্টি), বুধবার প্রধানমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (তৃণমূল কংগ্রেস), বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হবেন শারদ পাওয়ার (এনসিপি নেতা), শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী হবেন দেবগৌড়া (জনতা দল সেকুলার), শনিবার প্রধানমন্ত্রী হবেন স্ট্যালিন (ডিএমকে) আর রোববারে ছুটিতে চলে যাবে দেশ।
অমিত শাহ বলেন, এরা ভারতে ক্ষমতায় আসতে চাইছে অথচ নেতার ঠিক নেই।
সর্বভারতীয় বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ বলেন, বিজেপির কাছে চারটি বি আছে। বড়তা ভারত, বনতা ভারত। আর ওদের রয়েছে ভুয়াম ভাতিজা আর ভাইবোন। বিজেপি চাইছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে মজবুত সরকার। আর ওরা চাইছে দুর্বল সরকার।
অমিত শাহ এদিন দাবি করেন, ভারতের আগামী লোকসভা নির্বাচন শুধু বিজেপির জন্য নয়, ভারতের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। তবে এবারের লোকসভা ভোটে বিজেপি এত বেশি সংখ্যায় আসন পাবে যে, বিরোধীদের বুক কেঁপে উঠবে।
অমিত শাহ সভা থেকে সাফ জানিয়ে দেন, ভারতের কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে খুঁজে দেশের বাইরে বের করে দেওয়া হবে।
পাশাপাশি, শিগগিরই আদালতে অযোধ্যা মামলার নিষ্পত্তি ঘটিয়ে রাম মন্দির নির্মাণের কাজও শুরু করা হবে বলে আশ্বাস দেন অমিত শাহ।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে গত ১৯ জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে ঐতিহাসিক বিজেপি বিরোধী সমাবেশ থেকে যাত্রা শুরু করে ইউনাইটেড ইন্ডিয়া। এতে সমগ্র ভারতের আঞ্চলিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সমাবেশে অংশ নেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির সভাপতি শারদ পাওয়ার, ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং, তেলেগু দেশম পার্টির সভাপতি (টিডিপি) অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুক আবদুল্লাহ, দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কাজাগম (ডিএমকে) সভাপতি এম কে স্টালিন, কংগ্রেসের মুখপাত্র ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার সদস্য ড. অভিষেক মনু সিংভি, ভারতের সাবেক অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সভাপতি ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, গুজরাটের বাদগাম থেকে নির্বাচিত বিধানসভা সদস্য তরুণ রাজনীতিবিদ জিগনেশ মেবানি, সর্বভারতীয় বহুজন সমাজ পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও উত্তর প্রদেশের রাজ্যসভা সদস্য সতীশ মিশ্র, কর্নাটক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমার স্বামীসহ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতারা।