কানাডায় পৌঁছেছেন ঘরপালানো সৌদি তরুণী
ঘর ছেড়ে পালানো সৌদি তরুণী রাহাফ মোহাম্মেদ আল-কুনুন (১৮) কানাডায় পৌঁছেছেন। দেশটিতে শরণার্থী হিসেবে তাঁর আশ্রয় প্রার্থনা মঞ্জুর হওয়ার পর তিনি এ সুযোগ পেলেন।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড রাহাফ আল-কুনুনকে ‘অসীম সাহসী নবাগত কানাডীয়’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ যাত্রা করেছে এই তরুণী আর তাই আপাতত জনসমক্ষে কোনো বিবৃতি দেবে না রাহাফ।
‘সে খুবই সাহসী তরুণী, যাকে অনেক দুর্ভোগের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। এখন সে তার নতুন ঘরে যেতে চলেছে’, বলেন মন্ত্রী।
কয়েকদিন আগে অষ্টাদশী রাহাফ মোহাম্মেদ আল-কুনুন থাইল্যান্ডের ব্যাংকক হয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে কুয়েতে ফিরে যেতে বলা হয়েছিল, সেখানে রাহাফের পরিবার তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল।
তবে রাহাফ দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নিজেকে ব্যাংকক বিমানবন্দরের হোটেলকক্ষে আটকে রাখেন। হোটেলকক্ষের দরজার সামনে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে বিছানার ম্যাট, টেবিল, চেয়ার দিয়ে রাখেন তিনি।
হোটেল কক্ষে থেকে মাইক্রো-ব্লগিং সাইট টুইটারে নিজের ছবি ও বক্তব্য পোস্ট করেন ওই তরুণী। তাঁকে ফেরত পাঠালে মেরে ফেলা হবে, এমন কথাও বলেন তিনি। এর পরই বিষয়টি নজরে আসে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর)।
এর আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছিলেন, ‘কানাডা সব সময় মানবাধিকার ও নারীদের অধিকার রক্ষায় তাদের পাশে দাঁড়ায়। জাতিসংঘ থেকে আল-কুনুনের পক্ষে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয়ের আবেদন করা হলে আমরা তা গ্রহণ করি।’ সূত্র : বিবিসি