জেল থেকে মুক্তির পর পাকিস্তান ছাড়লেন আছিয়া বিবি
ইসলাম অবমাননার মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাসপ্রাপ্ত খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী আছিয়া বিবিকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে পাকিস্তান। আছিয়া বিবির আইনজীবী সাইফুল মালুকের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন। মুক্তির পর তিনি বিমানে করে পাকিস্তান ত্যাগ করেছেন। তবে কোন দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন, তা জানা যায়নি।
সাইফুল মালুক জানিয়েছেন, লাহোরের কারাগার থেকে পাঁচ সন্তানের জননী আছিয়া বিবিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে রায় দেওয়ার পর পাকিস্তানজুড়ে রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়। কট্টরপন্থী ইসলামী সংগঠনগুলো, বিশেষ করে তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের (টিএলপি) কর্মী-সমর্থকরা উল্টো বিচারকদের মৃত্যুদণ্ড ও আছিয়া বিবিকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির আহ্বান জানিয়ে আসছিল।
আছিয়া বিবির কারামুক্তির পর দেশত্যাগের প্রতিক্রিয়ায় কট্টরপন্থী টিএলপির নেতা এজাজ আশরাফি রয়টার্সকে বলেন, ‘এই কারামুক্তির মাধ্যমে সরকার তাদের সঙ্গে করা চুক্তি লঙ্ঘন করল। শাসকরা তাদের অসততা দেখিয়ে দিল।’
এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের আছিয়া বিবিকে পাকিস্তান ত্যাগে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হয়।
পাকিস্তানে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতার কারণে বেশ কয়েকটি দেশ আছিয়া বিবিকে আশ্রয় দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আছিয়ার স্বামীও যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সরকারপ্রধানদের কাছে আশ্রয় চান। এর আগে আছিয়ার আইনজীবী সাইফুল মালুক নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে পাকিস্তান ত্যাগ করেছেন।
২০০৯ সালে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাদানুবাদের একপর্যায়ে আছিয়া বিবি হিসেবে পরিচিত আছিয়া নুরান মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে তিনটি অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ দিয়ে মামলা করা হয়।
ওই মামলায় ২০১০ সালে লাহোরের একটি আদালত মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। আছিয়া বিবি এর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করলে দীর্ঘ আট বছর পর পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে বেকসুর খালাস পান তিনি।