দেহরক্ষীর গুলিতে কান্দাহার পুলিশের প্রধান নিহত
আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কান্দাহার পুলিশের প্রধান জেনারেল আবদুল রাজিক (৪০) নিজের দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। আগামী শনিবার দেশটির জাতীয় নির্বাচন। সেই নির্বাচন সামনে রেখে এমন হামলায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় কান্দাহারের গভর্নরসহ তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। হামলাকারীকে তৎক্ষণাৎ হত্যা করা হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
হামলার সময় অন্তত দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে জানা যায়।
আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে জেনারেল রাজিকের মতো তালেবানবিরোধী কর্মকর্তা নিহতের খবরে জাতীয় নির্বাচনের ভোটেও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। ওই এলাকার বহু ভোটার নিরাপত্তাহীনতার কারণে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন।
২০০১ সালে তালেবানকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের পর শনিবার তৃতীয় পার্লামেন্টারি নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ নিয়ে এ পর্যন্ত ১০ জন প্রার্থী সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন।
তালেবান জঙ্গিগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা জেনারেল রাজিক আর মার্কিন কমান্ডার জেনারেল স্কটকে ‘টার্গেট’ করেছিল। কিন্তু স্কট হামলা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হন।
জেনারেল স্কট বলেন, ‘জেনারেল রাজিকের মৃত্যুতে আমি খুব কাছের একজন বন্ধুকে হারালাম।’
কান্দাহারের পুলিশপ্রধান জেনারেল রাজিককে তালেবানের বিবৃতিতে ‘কুখ্যাত পুলিশপ্রধান’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
জেনারেল রাজিক নিজেকে কট্টর তালেবানবিরোধী কর্মকর্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। রাজিক এর আগে অন্তত ২০ বার তালেবানের হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান।
কান্দাহার প্রাদেশিক পরিষদের প্রধান জান খাকরাজওয়াল বলেন, ‘গুলিবর্ষণ শুরু হলে পুলিশপ্রধান ও গভর্নরসহ অন্যান্য কর্মকর্তা বিদেশি মেহমানদের রক্ষা করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন।’
২০১৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে আফগান অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করলেও আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিতে আট হাজার সেনাসদস্য ও কর্মকর্তা এখনো সেখানে রয়ে গেছে।
আফগানিস্তানে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বাহিনীর ১৬ হাজার সেনাসদস্যের মধ্যে আট হাজারই যুক্তরাষ্ট্রের।