বললেন অং সান সু চি

রাখাইন পরিস্থিতি আরো ভালোভাবে সামলানো যেত

Looks like you've blocked notifications!
হ্যানয়ে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে অং সান সু চি। ছবি : রয়টার্স

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি বলেছেন, রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি তাঁর সরকার আরো ভালোভাবে সামলাতে পারত। আজ বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে তিনি এ কথা বলেন।

সু চি বলেন, ‘যা হয়ে গেছে তাতে পেছন ফিরে তাকালে মনে হয়, পরিস্থিতি আরো ভালোভাবে সামলানো যেত।’ তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য আমাদের সব পক্ষকে স্বচ্ছ হতে হবে।’

সু চি রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের কারাদণ্ড নিয়েও কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, এই মামলাটির বাকস্বাধীনতার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। সাংবাদিক হওয়ার কারণে ওয়া লোন (৩২) ও কিয়াও সোয়ে ও-কে (২৮) সাজা দেওয়া হয়নি।

রয়টার্স জানায়, রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত নির্যাতন, গণহত্যার ছবি তোলা এবং সংবাদ প্রকাশ করায় দুই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে মিয়ানমার সরকার।

মিয়ানমারের নেত্রী বলেন, ‘আমার আশ্চর্য লাগে, অনেক লোক হয়তো রায়ের পুরো সারসংক্ষেপ পড়েই দেখেনি। রায়ের সঙ্গে বাকস্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই। এটার সঙ্গে সরকারি গোপনীয়তা আইনের সম্পর্ক রয়েছে।’

সু চি বলেন, ‘আমরা যদি আইনের শাসনে বিশ্বাস করি, তাঁদের (দুই সাংবাদিক) অধিকার আছে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার এবং তাঁরা দেখাবেন যে রায় কেন ভুল হয়েছে।’

রয়টার্স জানাচ্ছে, গত বছরের আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত সহিংসতা-নির্যাতনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে সু চির যে উঁচু অবস্থান ছিল, সেখান থেকে তাঁর পতন হয়। ১৯৯১ সালে নোবেল পুরস্কার পাওয়া সু চির অনেক আন্তর্জাতিক খেতাব, সম্মান কেড়ে নেওয়া হয়—রোহিঙ্গাদের রক্ষা করতে না পারায়।

গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এর পর থেকে নির্যাতন, গণহত্যা, ধর্ষণের মুখে সাত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগে থেকেই চার লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল। সব মিলিয়ে ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। সরকারি-বেসরকারি হিসাবে এ তথ্য জানা গেছে।