নতুন বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে ট্রাম্পকে কিমের চিঠি

Looks like you've blocked notifications!
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন (বাঁয়ে), যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডানে)। ছবি : সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পুনরায় বৈঠকে বসার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আন্তরিক আর উষ্ণ একটি চিঠি লিখেছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। যুক্তরাষ্ট্রও নতুন বৈঠকের দিনক্ষণ নির্ধারণের চেষ্টা করছে।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স জানান, ‘খুবই উষ্ণ’ চিঠি, যা কি না পিয়ংইয়ংয়ের ‘পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে তাদের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে’।

চলতি বছরের জুলাই মাসে সিঙ্গাপুরে প্রথমবারের মতো কিম ও ট্রাম্পের ঐতিহাসিক বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে আলোচনা হয়।

‘চিঠির প্রাথমিক উদ্দেশ্যটি ছিল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আরেকটি বৈঠকে বসার ব্যাপারে আহ্বান জানানো, যে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত, এর ভেতরেই আমরা দিনক্ষণ মেলানোর চেষ্টা করছি,’ জানান সারাহ স্যান্ডার্স। কোন সময়ে দুই দেশের নেতার মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক হতে পারে, সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি।

কিন্তু সারাহ চিঠিটিকে খুবই ‘ইতিবাচক আর আন্তরিক’ বলে অভিহিত করেন এবং গত সপ্তাহে নিজেদের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে কোনো ধরনের আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন না করাকে অভিনন্দিত করেন। এটিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘অসাধারণ সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করেন সারাহ।

সামরিক কুচকাওয়াজে উত্তর কোরিয়ার কোনো ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শনকে উসকানিমূলক ধরে নেওয়ার আশঙ্কা থাকত।

এদিকে ওই কুচকাওয়াজের পর ট্রাম্প নিজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে লেখা এক পোস্টে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন, ‘উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে এটি একটি বিশাল আর ইতিবাচক ঘটনা। ধন্যবাদ চেয়রাম্যান কিম। আমরা দুজন বাকি সবাইকে ভুল প্রমাণ করব।’

বিগত জুনে সিঙ্গাপুরের বৈঠকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে দুই নেতার মধ্যে সফল আলোচনা হয় বলে ট্রাম্প দাবি করলেও বৈঠকের পর পরই ট্রাম্পকে বিতর্কের মুখে পড়তে হয়। বিরোধীরা বলতে থাকে যে, নিরস্ত্রীকরণের আলোচনা হলেও তা কবে নাগাদ কীভাবে করা হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো আলোচনাই হয়নি। ফলে নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ার সাফল্য নিয়ে সংশয় পোষণ করা হয়।

পরে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে দুই দেশেরই উচ্চ পর্যায়ের কথাবার্তা চলতে থাকে। নিরস্ত্রীকরণ কার্যক্রমে  দুই দেশ একে অপরের ভূমিকাকে বিভিন্ন সময়ে সমালোচনাও করে।