বাংলাদেশ থেকে ভারতে বড় অনুপ্রবেশ ঘটেনি : বিজিবির ডিজি

Looks like you've blocked notifications!
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। ছবি : বিজিবি

বাংলাদেশ থেকে ভারতে উল্লেখযোগ্য বড় কোনো অনুপ্রবেশ কিংবা অভিবাসনের ঘটনা নেই বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম।

গতকাল শুক্রবার রাতে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও বিজিবির ডিজি পর্যায়ের ৪৭তম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন দাবি করেছেন বিজিবির মহাপরিচালক।

সাফিনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে উন্নয়নের জোয়ার চলছে। বাংলাদেশের মানুষ সুন্দর জীবনযাপন করছেন। ফলে সংঘবদ্ধভাবে বা বিশাল সংখ্যায় দেশত্যাগ করার কোনো ঘটনা নেই। যে সমস্ত বাংলাদেশি নাগরিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসেন, তারা মূলত সাংস্কৃতিক বন্ধন ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের কারণেই সীমান্ত অতিক্রম করেন। অনেক বাংলাদেশি নাগরিকদের আত্মীয়স্বজন ভারতে বসবাস করেন বলে ভারতে আসেন।  এ রকম ক্ষেত্রে কিছু ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটলেও তা নগণ্য, বরং বেশিরভাগ বাংলাদেশি নাগরিকই বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশে ফিরে যান বলে জানান সাফিনুল ইসলাম।

অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে বিএসএফের ডিজি কে কে শর্মা জানান, চলতি বছরে ভারতে ১ হাজার ৫২২ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৬৬ জন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, বাকিরা পাচার হয়ে আসা। তবে এসব ক্ষেত্রে নির্যাতিত ও অপরাধীর মধ্যে পার্থক্য বোঝার জন্য জওয়ানদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে বলে জানান কে কে শর্মা।

অন্য সময়ের চেয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে গবাদি পশু পাচারের ঘটনা অনেক কমেছে বলেও বৈঠক একমত প্রকাশ করেন দুই দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর দুই ডিজি।

এ প্রসঙ্গে বিজিবির ডিজি সাফিনুল ইসলাম বলেন, সীমান্ত দিয়ে যাতে গবাদি পশু পাচার না হয় সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক রয়েছি। গবাদি পশু পাচারের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বর্তমানে গবাদি পশুর পাচার কম হওয়ার ফলে বাংলাদেশের মানুষ স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বলে তিনি।

সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে সাফিনুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সময়ে সীমান্ত হত্যা নিয়ে বাংলাদেশ যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। যদিও আগের চেয়ে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুর হার এখন অনেকটাই কমেছে। মূলত পাচারের সঙ্গে জড়িতদের ক্ষেত্রে এমন দুর্ঘটনা বেশি ঘটে থাকে বলে জানান তিনি।

সীমান্ত হত্যা বন্ধে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী একযোগে কাজ করছে উল্লেখ করে সাফিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সীমান্ত হত্যার ঘটনা শূন্যে নামাতে চাই।’

একই প্রসঙ্গে বিএসএফের ডিজি দাবি করেন, চলতি বছরে সীমান্তে একজনও বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

এরপর রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিএসএফের ডিজি কে কে শর্মা বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ছোট ছোট দলে রোহিঙ্গারা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্ত আমরা সজাগ থাকার কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বড় সংখ্যায় কোনো রোহিঙ্গা প্রবেশের ঘটনা নেই।’

বিজিবির ডিজি  বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে সবসময় সতর্ক থাকছে বিজিবিও। শুধু তাই নয়, বিজিবির বাইরে বাংলাদেশের অন্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলোও তাদের ওপর সব সময় নজর রাখছে।