ছাগলও মানুষ চেনে!
ছাগল বোকা আর হাবা ভাবতেই অভ্যস্ত মানুষ। এমনকি অনেক সময় কাউকে বোকা বোঝাতে ছাগল বলে ডাকা হয়। এখনো সময় আছে এ ভুল শোধরানোর। নতুন এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা লক্ষ করেছেন ছাগল মোটেই বোকা নয়, সে খুব ভালো করেই মানুষের আচার-আচরণ হাবভাব বুঝতে পারে এবং সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয় কাছে ঘেঁষার বা বা দূরে থাকার ব্যাপারে।
গতকাল বুধবার বিবিসির প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক ছাগল বিষয়ক দাতব্য সংস্থা ‘বাটারকাপস স্যাংচুয়ারি ফর গোটস’-এর একদল বিজ্ঞানী এক পাল ছাগলের সামনে একই ব্যক্তির দুই রকম ছবি রাখে, যার একটিতে ওই ব্যক্তিকে হাসিমুখ আর অপরটিতে ক্ষুব্ধ দেখাচ্ছে। এরপর দেখা যায় সারিবদ্ধ ছাগল ওই ব্যক্তির হাসিমুখের ছবিটির কাছে এগিয়ে যায়।
শুধু তাই নয়, ছাগলগুলো হাসিমুখের ছবিটির ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে নাক-মুখ দিয়ে সেটি শুঁকেও দেখছিল বলে জানায় বিজ্ঞান গবেষণা ও বিশ্লেষণ বিষয়ক পত্রিকা ‘ওপেন সায়েন্স’। এতে প্রমাণিত হয় ছাগলরা আমুদে মানুষকে পছন্দ করে।
এর আগে পর্যন্ত কেবল মানুষের সার্বক্ষণিক সঙ্গী হিসেবে কুকুর বা ঘোড়া মানুষের মনমানসিকতা বোঝার ক্ষমতা রাখে বলে মনে করা হলেও, নতুন এই গবেষণায় দেখা গেল গৃহপালিত পশু যেমন ছাগলও মানুষের মতিগতি বুঝতে পারে।
অবশ্য ওই পরীক্ষায় হাসিমুখের ছবিটি যখন ডানদিকে ছিল সে সময় দেখা গেলেও, ছবিটিকে বাম দিকে সরিয়ে দিলে ছাগলেরা হাসি বা ক্ষুব্ধ মুখের কোনো ছবিকেই বেছে নেয়নি।
এর কারণ হিসেবে গবেষকরা ভাবছেন, ছাগল সম্ভবত অন্য অনেক প্রাণীর মতো মস্তিষ্কের যেকোনো এক পাশ দিয়ে তথ্য বিশ্লেষণ করে।
গবেষক দলের অন্যতম সদস্য ড. অ্যালান ম্যাকএলিগট বলেন, ‘গৃহপালিত প্রাণীদের সঙ্গে আমরা কেমন আচরণ করব সে ব্যাপারে এই গবেষণার বিশেষ তাৎপর্য আছে। হতে পারে শুধু পোষ্য প্রাণীরাই নয় এর বাইরের প্রাণীরাও মানুষের মনোভাব বুঝতে পারে।’